February 5, 2025, 10:54 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির সংলাপ শুরুর জন্য জন্য নতুন দুটি শর্ত দিয়েছেন। প্রথম শর্ত রাশিয়া ইউক্রেনের যে চার প্রদেশ নিজের সীমানাভুক্ত করেছে, কিয়েভকে সেই প্রদেশগুলো থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিতে হবে। দ্বিতীয় শর্ত— ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আর তদবির করবে না কিয়েভ, অবশ্যই এই ঘোষণা দিতে হবে।
এদিকে, ইউক্রেন পুতিনের প্রস্তাবকে ‘অপমানকর’ বলে মন্তব্য করেছে।
শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং অন্যান্য রুশ কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে পুতিন বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। যে মুহূর্তে কিয়েভ (চার প্রদেশ থেকে) সেনা প্রত্যাহার এবং ন্যাটোতে যোগদানের জন্য আর চেষ্টা করবে না বলে ঘোষণা দেবে, ঠিক তখন থেকে আমরা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আলোচনা এবং ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করব।’
২০১৪ সালে রাশিয়ার কাছে ক্রিমিয়া হারানোর পরের বছর বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে রাশিয়ার সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন ইউক্রেনের সরকারি প্রতিনিধিরা। সেই চুক্তির প্রধান শর্ত ছিল ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে ইউক্রেনের স্বীকৃতি দানের বিষয়টি।
তবে সেই শর্ত পূরণের পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য তদবির শুরু করে ইউক্রেন। এই নিয়ে কয়েক বছর টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন ভ্লাদিমির পুতিন।
সেই অভিযান এখনও চলছে। ইউক্রেনের নিজস্ব অস্ত্র ভাণ্ডার শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। এখন পশ্চিমা দেশগুলোর অস্ত্র সহায়তার ওপর নির্ভর করে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।
শুক্রবারের বৈঠকে পুতিন বলেন, এই যুদ্ধ থেমে যেতো অনেক আগেই। পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্র সহায়তা দিয়ে এটিকে জিইয়ে রেখেছে। আমরা শুধু চাই ইক্রেনের সরকার রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ অবস্থান নিক, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় আসুক এবং ইউক্রেনের জনগণের ভবিষ্যৎকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুক।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি উপদেষ্টা মিখাইলো পদোলিয়াক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ‘এটা সম্পূর্ণ লজ্জা। বরাবরের মতো এবারও। মোহ থেকে মুক্ত হোন এবং রাশিয়ার প্রস্তাবকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া বন্ধ করুন। রাশিয়ার প্রস্তাব সাধারণ অর্থেই অপমানকর।’
অবশ্য ইউক্রেন আনুষ্ঠানিকভাবে পুতিনের প্রস্তাবের জবাব দেয়নি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এখন ইতালিতে আছেন। সেখানে বিশ্বের শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি-৭ এর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সম্মেলন থেকে ইউক্রেনে আরও ৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা ঘোষণা করা হয়েছে। জেলেনস্কি এই বৈঠক থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রত্যাশা করছেন।
Leave a Reply