দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
মরিচ ক্ষেতে আগাছা পরিস্কার করছিলাম। হঠাৎ হাজির দুই অস্ত্রধারী বিএসএফ। কিছুই জিজ্ঞেস করলো না। শুধু বুট পায়ে বুকে, পিঠে, মুখে লাথি মারতে লাগলো। রাইফেল বাট দিয়ে পিঠের উপর মারতে লাগলো। চুল ধরে টেনে তুলে আছড়ে ফেলতে লাগলো। এক পর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। আর কিছুই মনে নেই।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে এভাবেই বর্ণনা দিচ্ছিলেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফএর নির্যাতনের।
মেহেরপুরের কাজিপুর সীমান্তে বুধবার (১২ জুন) সকাল ৯ টার দিকে আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৪৬ ও ১৪৭ পিলারের মাঝে এ ঘটনাটি ঘটে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ফুলবাড়ি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার ইতোমধ্যে প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিজিবি।
কৃষক আলমগীর জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাজিপুর গ্রামের ভারতীয় সীমান্তবর্তী মাঠে আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ১৪৬ ও ১৪৭ এর মাঝে নিজ জমির মরিচ ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করছিলেন। হঠাৎ দুই বিএসএফ সদস্য এসে তাকে মারধর করতে থাকে। এতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন আলমগীর। বিএসএফ সদস্যরা নিজেদের সীমান্তে চলে যায়। বিষয়টি টের পেয়ে মাঠের অন্যান্য কৃষকরা আলমগীরকে উদ্ধার করে গাংনি উটজেলা স্বস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর জ্ঞান ফিরে আসে। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মাঝে মধ্যেই ভারতের বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশের নিরীহ কৃষকদের ওপর চওড়া হয় এবং বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে।
৪৭ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মোর্শেদ জানান, কাজিপুর সীমান্তে কৃষক নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়।
আর এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে এ জন্য সজাগ রয়েছেন তারা, বলে জানান তিনি।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি