February 5, 2025, 2:49 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
ওয়েস্ট বেঙ্গল সিআইডি (অপরাধ তদন্ত বিভাগ) মুম্বাইতে বসবাসকারী বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী জিহাদ হাওলাদারকে গ্রেপ্তারের পর তদন্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি করেছে। সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, জিহাদ হাওলাদার কলকাতার নিউ টাউনের একটি অ্যাপার্টমেন্টে বাংলাদেশের সংসদ সদস্যকে হত্যা ও টুকরো টুকরো করার ঘটনায় জড়িদ। বিষয়টি তিনি স্বীকারও নিয়েছেন। জিহাদ পেশায় একজন কসাই।
জিহাদের স্বীকারোক্তিতে কীভাবে অপরাধটি সুচিন্তিতভাবে পরিকল্পিত ও সম্পাদিত হয়েছিল তার চমকপ্রদ বিবরণ বেরিয়ে এসেছে। হাওলাদার জানাচ্ছেন যে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন আখতারুজ্জামান শাহিন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। আখতারুজ্জামানের নির্দেশে হাওলাদারসহ আরও চার বাংলাদেশি নাগরিক এমপিকে নিউ টাউন অ্যাপার্টমেন্টে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
বেঙ্গল সিআইডি নিউ টাউন অ্যাপার্টমেন্টের ভিতরে রক্তের দাগ খুঁজে পায়। বেশ কয়েকটি প্লাস্টিকের ব্যাগও উদ্ধার করে, যেগুলি শরীরের অঙ্গগুলি ডাম্প করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল বলে তারা বিশ্বাস করে। পরিস্থিতিগত প্রমাণ ইঙ্গিত করে যে এমপিকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল এবং তারপরে তার দেহকে কয়েক টুকরো করা হয়েছিল, পুলিশ দাবি করেছে।
জিহাদ পুলিশকে বলেছে যে আনারকে হত্যা করার পর, দলটি লাশের চামড়া, সমস্ত মাংস অপসারণ করতে এবং সনাক্তকরণের যেকোন সম্ভাবনাকে মুছে ফেলার জন্য এটিকে কেটে ফেলেছিল। তারপর দেহাবশেষগুলিকে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে, হাড়গুলিকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নেওা হয়েছিল। এই প্যাকেটগুলি কলকাতা জুড়ে পরিবহন এবং নিষ্পত্তি করা হয়েছিল, সন্দেহভাজন বলেছে।
এদিকে, লাশটুকরো বহন করা গাড়িচালকের দেওয়া তথ্যমতে, লাশের টুকরোগুলোর মধ্যে কিছু অংশ পোলেরহাট থানার ভাঙড় এলাকার কৃষ্ণমাটি গ্রামে ফেলা হয়েছে। জিরানগাছাতেও ফেলা হয়েছে দেহাংশ। এসব জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতের সিআইডি।
সূত্র বলছে, আনার নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটে ঢোকার ২০ মিনিটের মধ্যেই তাকে খুন করা হয়। প্রথমেই আনারের মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপর বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। মরদেহের পচন ঠেকাতে মরদেহটি টুকরো টুকরো করে কেটে ফ্রিজে রাখা হয়। এরপর মরদেহের টুকরোগুলোতে হলুদ মেশানো হয়।
Leave a Reply