December 22, 2024, 11:37 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত এটিই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। অন্যদিকে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা বাংলাদেশের নথিভুক্ত ইতিহাসের সর্বোচ্চ। আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক এ তথ্য জানান।
২৯ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখল চুয়াডাঙ্গাবাসী/
২৯ বছরের তাপমাত্রা ডিঙিয়ে চুয়াডাঙ্গায় আবারো সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জেলাটিতে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১২ শতাংশ। চলতি মৌসুমে এটিই চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ১৯৯৫ সালে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০০৫ সালের ২ জুন চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১২ সালের ৪ জুন চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
টানা প্রায় এক মাস ধরে এ জেলায় অব্যাহত রয়েছে মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, মঙ্গলবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১২ শতাংশ। এদিন দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ এবং সকাল ৯টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৬ শতাংশ। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি থাকায় গোটা জেলায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পর্যন্ত তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। আগামীকাল বুধবার (১ মে) থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে থাকবে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ও জলবায়ু সংক্রান্ত রেকর্ড থেকে বোঝা যায়, গত কয়েক দশক ধরেই বাংলাদেশে উষ্ণতার মাত্রা ও এর স্থায়িত্ব বাড়ছে। বাংলাদেশে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় প্রকৃত তাপমাত্রার চেয়েও চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রার গরম অনুভূত হচ্ছে। যে কারণে সাধারণের অস্বস্তিও বেশি। আজকের ৪৪ ডিগ্রির কাছাকাছি—এই তাপমাত্রাকে বিপদজ্জনকও বলেছেন তারা।
Leave a Reply