December 21, 2024, 11:06 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
সহ্য ক্ষমতার চেয়ে বেশী মাত্রার অব্যাহত তাপদাহের কারনে সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে বোরো ধান হিটশকের ঝুঁকিতে পড়ে আশঙ্কায় কৃষি বিশেষজ্ঞরা। দেশের বিভিন œজায়গায় বোরো ধানের ফুল ফোটার সময় (ফ্লাওয়ারিং স্টেজ) চলছে। সবশেষ ২০২১ সালে দেশে বড় ধরনের হিটশক হয়। এতে প্রায় অর্ধলাখ হেক্টর জমির ধান তাপে চিটা হয়ে যায়। ওই সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা ধানের জন্য ক্রিটিক্যাল তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশ ওপরে। এতে বোরো ধানের ফোটা ফুলগুলো শুকিয়ে বড় ক্ষতি হয়েছিল। এবার এই তাপমাত্রা কোথাও কোথাও ৪২ ডিগ্রি। এই মুহূর্তে দেশের ৪০টির বেশি জেলার বিভিন্ন স্থানে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
গত শনিবার চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে, ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশে এখন তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। যে কারণে দেশে ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করা রয়েছে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) বলছে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এ ধরনের হিটশককে জলবায়ু পরিবর্তনের নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সারাদেশে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ৫০ লাখ ৫৮ হাজার হেক্টর জমিতে। যেখানে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা দুই কোটি ২২ লাখ ৫৬৪ টন। এখন পর্যন্ত বোরো কর্তন করা হয়েছে শুধু হাওরাঞ্চলে। সেখানে তিনদিন ধরে ধানকাটা চলছে। প্রথম দুদিনে ৭৭ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে।
Leave a Reply