December 22, 2024, 9:45 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
সোনালী ব্যাংকের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ দুর্নীতির ১১টি মামলার মধ্যে একটি মামলায় হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। এছাড়াও মামলাটির অন্য ১৫ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ঢাকার ১ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আবুল কাশেম আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তানভীর ও তার স্ত্রী ছাড়াও মামলাটিতে কারাগারে থাকা আসামিদের মধ্যে রয়েছে, হলমার্কের জেনারেল ম্যানেজার তুষার আহমেদ, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক জিএম মীর মহিদুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ, ডিএমডি মাইনুল হক, এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান ও নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক।
পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম ননী গোপাল নাথ, প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান ও সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি।
এছাড়া জামিনে রয়েছেন, সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার।
গত ২৮ জানুয়ারি মামলার যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায়ের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ঠিক করেন। তবে ওই দিন রায় ঘোষণা থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ঠিক করেন আদালত। সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ১২ মার্চ দিন ধার্য করেন। ওইদিন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজ ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেন।
মামলায় অস্তিত্বহীন ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের নামে প্রায় ৫২৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসামিরা। ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাতে অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার মহানগর দায়রা আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলার অভিযোগ গঠন করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ বদলির আদেশ দেন।
মামলায় আদালত অভিযোগপত্রে মোট ৮১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
Leave a Reply