December 22, 2024, 8:07 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
একটি সেতুর জন্য লাখো মানুষের শত শত বছরের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। অবশেষে গড়াই নদীর উপর জানিপুর থেকে ওসমানপুর সেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলো। এটি যিনি সম্ভব করলেন তিনি হলেন এই ব্রীজের স্বপ্নদ্রষ্টা খোকসারই কৃতি সন্তান দেশের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সোমবার, ৫ ফেব্রæয়ারি এ ঐতিহাসিক ঘটনার স্বাক্ষী হলেন খোকসার হাজারো জনতা। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সাথে এ সময় উপস্থিত থেকে ব্রীজের ভিত্তিপ্রস্তর করেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ ও কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা, পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর ও কুমারখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজার সভাপতিত্বে ও লেখক গবেষক ড. আমানুর আমান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ ও কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর ও কুমারখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউএনও ইরুফা সুলতানা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন খোকসা পৌরসভার মেয়র তারিকুল ইসলাম।
২শ ৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। স্বাধীনতার পর থেকেই খোকসাবাসী এই সেতুর দাবি করে আসছিল। সেতুটি বাস্তবায়ন হলে খোকসা, ঝিনাইদহ, মাগুরা ও রাজবাড়ী জেলার মানুষের যোগাযোগের সহজ সেতুবন্ধন হবে। বর্তমানে নৌকায় করে মানুষ চরম দুর্ভোগ নিয়ে গড়াই পারাপার হয়।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সময়ের ব্যবধানে জনসংখ্যা আরো বাড়বে। বাড়বে মানুষের জীবন -মানের ব্যয়। সেজন্য ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি চলমান রাখতে শিল্প, কল কারখানা গড়ে তুলতে হবে। শিল্প বিপ্লব ঘটাতে হবে – বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের সদ্য অবসর প্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
তিনি আরো বলেন, একটি সেতু শুধু একটি প্রতীক নয়, একটি এলাকার উন্নয়নের কানেকটিভিটি। সেতু চালু হলে খোকসা অঞ্চলের সাথে ঢাকার যোগাযোগের উন্নয়ন হবে। সড়কের দুপাশে গড়ে উঠবে শিল্প কারখানা। সেখানে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে।
এ ছাড়া বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা অত্যন্ত একজন বিনয়ী মানুষ। তাঁর চিন্তা ভাবনায় সবকিছুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন ভাসে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করেছে চলেছেন। সেতু নির্মাণে যেন কোনো অনিয়ম না হয় সেদিকে প্রকৌশলীসহ সকলকে নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।
বিশেস অতিথি সাংসদ আব্দুর রউফ তার বক্তব্যে বলেন, এই দিনটি ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়ে থাকবে। খোকসাবাসীর যে দাবিটি পূরণ হলো সেটি ঐতিহাসিক ঘটনার অংশ। তিনি বলেন সেতু বাস্তবায়নে তিনি তার সাধ্যমতো যা কিছু করার করবেন।
সদর উদ্দিন খান বলেনম ষড়যন্ত্রকারীরা পালিয়েছে। যারা ব্রীজ নিয়ে নোংরা রাজনীতি করেছিলেন, অর্থ লুটপাটের বন্দোবস্ত করতে চেয়েছিলেন তাদের ঐতিহাসিক পতন ঘটেছে। তাদের ঐতিহাসিক পতনের মধ্য দিয়ে খোকসাবাসী ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেন, মানুষ চিরজীবন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে মনে রাখবে।
Leave a Reply