December 22, 2024, 10:17 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল শুনানির দ্বিতীয় দিনে বাছাইয়ে বাদ পড়া ৫১ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে এ শুনানি হয়। বাছাইয়ে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের স্বতস্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে শুনানি।
দ্বিতীয় দিনে ৯৯ জনের আপিল শুনানি হয়। শুনানিতে ৫১ প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর প্রার্থিতা ফেরত পাননি ৪১ জন। সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি বা পেন্ডিং রয়েছে সাতজনের।
এনিয়ে দুদিনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ১০৮ জন। এর আগে শুনানির প্রথমদিন রোববার ৫৭ জন প্রার্থিতা ফিরে পান।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল জমা পড়েছে। ১০-১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।
গতকাল প্রথম দিনে ৯৪টি আপিল শুনানিতে প্রার্থীতা ফিরে পান ৫৬ জন।
আপিলে যাঁরা প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন, তাদের মধ্যে আছেন চট্টগ্রাম-১০ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদ, ময়মনসিংহ-১১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ, কুষ্টিয়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রউফ, মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী নূরে আলম সিদ্দিক, ঢাকা-১৪ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. নাজমুল ইসলাম, রংপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. সুমনা আক্তার, ঢাকা-৫ আসনের সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী মো. নুরুল আমিন, বাগেরহাট-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাজরা সহিদুল ইসলাম, গাইবান্ধা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. মাছুম আখতার, কুমিল্লা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল মজিদ, ঢাকা-১৯ আসনের বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী মো. জুলহাস প্রমুখ।
প্রার্থিতা বাতিলই থাকছে, এমন ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন—ঠাকুরগাঁও-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. তহমিনা আখতার মোল্লা, কক্সবাজার-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল আহমদ, সিরাজগঞ্জ-১ আসনের ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. শফিকুল ইসলাম, বগুড়া-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ নাছির হায়দার করিম, নোয়াখালী-৬ আসনের ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী তারিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী ফজলুল হক, যশোর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সন্তোষ কুমার অধিকারী, নেত্রকোনা-৩ আসনের ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী আসাদুজ্জামান খান, নেত্রকোনা-২ আসনের ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো. আমজাদ হোসেন ঠাকুর, ফেনী-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভীন আক্তার, নওগাঁ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আফজাল হোসেন, নোয়াখালী-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন বাবর, নওগাঁ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুস সামাদ প্রামাণিক, ময়মনসিংহ-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বাবুল আহম্মেদ, মানিকগঞ্জ-২ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. জসীম উদ্দিন প্রমুখ।
মানিকগঞ্জ-১ ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় পার্টির মোহা. জহিরুল আলম রুবেল, রাজশাহী-৫ আসনের বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী মো. আলতাফ হোসেন মোল্লাসহ পাঁচ আপিলের বিষয়ে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইসি সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোট হবে ৭ জানুয়ারি।
Leave a Reply