দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তাদের শরিকরা। মনে করা হচ্ছে মোট ৩০টি দল নির্বাচনে যাচ্ছে।
জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩০টি দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। আর নির্বাচনে না যাওয়ার প্রশ্নে অনড় বিএনপিসহ ১৪টি দল। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে আছে মোট ৪৪টি দল। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা আটটি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলেও নিবন্ধিত আটটি রাজনৈতিক দল রয়েছে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। এরপর কোনো প্রার্থী ইচ্ছা করলে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। আর চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ১৮ ডিসেম্বর।
নিবন্ধিত ৪৪ দলের মধ্যে অংশ নেবে ৩০টি / নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৪টি। এর মধ্যে ৩০টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনের অংশ নেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক। এর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি-জেপি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নির্বাচনে অংশ নেবে। এই দলগুলো আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অন্তর্ভুক্ত।
এ ছাড়া বাংলাদেশ মুসলীম লীগ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ কংগ্রেস, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে ১৪টি দল : নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), জেএসডি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিজেপি, কল্যাণ পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ মুসলীম লীগ-বিএমএল। এ ছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ), এনডিএম এবং ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশও নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে।
এদিকে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। সরকারের অনুমতি না পেলেও গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার পর থেকে গুঞ্জন উঠেছে, দলটির নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন।
বিএনপির যুগপতে নিবন্ধিত দল আটটি/ বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপতে ৪২টির মতো দল থাকলেও এর মধ্যে মাত্র আটটির নিবন্ধন আছে। দলগুলো হলো—বিএনপি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি (পার্থ), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিএম), বাংলাদেশ মুসলীম লীগ (বিএমএল), কল্যাণ পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি।
বিএনপির সঙ্গে থাকা গণতন্ত্র মঞ্চের ছয়টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও জেএসডি নিবন্ধিত। এই জোটের শরিক গণসংহতি আন্দোলন ও নাগরিক ঐক্যের নিবন্ধন না থাকলেও সাংগঠনিকভাবে কিছুটা শক্তিশালী।
যুগপতের মিত্র ১২দলীয় জোটের বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) ও কল্যাণ পার্টি নিবন্ধিত। এর বাইরে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ কিছুটা শক্তিশালী।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের শরিক ১০ দলের কারোরই নিবন্ধন নেই। সাংগঠনিকভাবে তাদের অবস্থান মজবুত নয়।
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের চার দলের মধ্যে নিবন্ধন নেই একটিরও। এ ছাড়া যুগপৎ আন্দোলনে আছে নিবন্ধিত দল এলডিপি, বিজেপি ও এনডিএম।
এর বাইরে এবি পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের দুই অংশ এবং গণফোরামের একাংশ পৃথকভাবে যুগপৎ আন্দোলন করছে বিএনপির সঙ্গে। এসব দল নিবন্ধন পায়নি।
১৪ দলে নিবন্ধিত আটটি/ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ১২টি। এর মধ্যে নিবন্ধিত আটটি রাজনৈতিক দল হলো আওয়ামী লীগ, সাম্যবাদী দল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাপ, তরিকত ফেডারেশন, জেপি-মঞ্জু ও ওয়ার্কার্স পার্টি। এ ছাড়া গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, গণআজাদী লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র ও বাসদের নিবন্ধন নেই।
বাম জোটে নিবন্ধিত দুই দল/ গণতান্ত্রিক বাম জোটে আছে পাঁচটি রাজনৈতিক দল। তারা হলো—বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টি। এই জোটের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে আছে আরও দুটি ছোট দল ও একটি সমমনা রাজনৈতিক জোট। এর মধ্যে (সিপিবি) ও বাসদ ছাড়া অন্য দলগুলোর নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নেই। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের দাবি আদায় না হলে এই জোট আগেই নির্বাচনে না আসার ঘোষণা দিয়েছে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি