December 22, 2024, 10:16 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, এ জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য সেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। ঠিক সেই হিসেব-নিকাশ করেই ৩ নভেম্বর যে হত্যাকান্ড করা হয়, যাতে জাতি দিন দিন ধ্বংসের দিকে যায়। সেই ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। তারপর আমাদের এগুতে হবে। অন্যথায় বার বার আমরা এ বিপদের সম্মুখ হতেই থাকবো।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের গুণাবলির মধ্যে অন্যতম একটি ছিল সততা। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তার বাড়ি তল্লাশি করে পাওয়া গেছে মাত্র ২৫ হাজার টাকা। তিনি কত সাধারণ জীবনযাপন করতেন সেই বাড়ি গেলেই দেখা যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা যদি একাত্তর মেনে নিই, সংবিধান মেনে নিই, গণতন্ত্র মেনে নিই, তারপর যদি রাজনীতি শুরু করা যায়, সমাজনীতি শুরু করা যায়, অর্থনীতি শুরু করা যায়, বিচার শুরু করা যায়, এবং গণতন্ত্রকে যদি আমরা ধারণ করি তাহলে আমাদের ভেতর যে দূরত্ব আছে সেটা কমে আসবে। যে উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়েছিলেন, যে কারণে বঙ্গবন্ধু শহীদ হয়েছেন, আমার মনে হয় সে লক্ষ্য পূরণ করতে পারবো।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের গুণাবলির মধ্যে একটি ছিল সততা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার বাড়ি তল্লাশি করে মাত্র ২৫ হাজার টাকা পাওয়া যায়। তিনি কত সাধারণ জীবনযাপন করতেন সেই বাড়ি গেলেই দেখা যায়। দ্বিতীয়ত আত্মসচেতনা থাকতে হবে। আরেকটি হলো সাহস থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সাহসিকতা ছিল।
প্রধান বিচারপতি বলেন, দেশ স্বাধীন করতে তিনি ছিলেন দৃঢ় সংকল্প। জনগণের সঙ্গে তার সংযোগ ছিল। জাতির প্রতি তার আস্থাই তাকে নেতা বানিয়েছে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, যদি আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, বহুদলে বিশ্বাস করি, তাহলে সহনশীল হতেই হবে। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে একে অন্যের প্রতি সহনশীল হতেই হবে। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করবো আর সহনশীল হবো না, এটা গণতন্ত্রের চর্চা বলা যাবে না।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা, দোয়া ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আমি বলবো আসেন দেশ স্বাধীন হয়েছে, গণতন্ত্রে সবাই বিশ্বাস করেন সবাই রাজনীতি করেন সবাই সমাজনীতি করেন বঙ্গবন্ধু মানেন, মানেন এ দেশের সংবিধানকে। এসময় প্রধান বিচারপতি রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
আলোচনা সভায় আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি বশির উল্লাহ, বিচারপতি মাহমুদুল হক, বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার, বিচারপতি খিজির আহম্মেদ চৌধুরী, বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি আশরাফুল কামাল, বিচারপতি খিজির আহমেদ, বিচারপতি ফরিদ আহমেদ, বিচারপতি জেবি এম হাসান, বিচারপতি রেজাউল হাসান।
Leave a Reply