January 4, 2025, 5:14 pm
সূত্র/আরটি
রাশিয়ার অর্থনীতি নিয়ে দ্রুত ঘরে দাঁড়াতে চান দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে পশ্চিমা কোম্পানিগুলোর আধিপত্য খর্ব করার ওপর দেশটির সরকার বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং ইতোমধ্যে তার ইতিবাচক ফলাফলও পাওয়া যাচ্ছে। তিনি প্রতিযোগীতারও ঘোষণা দিয়েছেন এ লক্ষ্যে। তিনি ধাপে দাপে এগুতে চান।
তিনি বলেছেন, “বৈশ্বিক বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের যে একচেটিয়া আধিপত্য বিরাজ করছে, তার অবসানে প্রতিযোগিতায় নামতে রাশিয়া প্রস্তুত।”
বৃহস্পতিবার রাজধানী মস্কোতে রাশিয়াভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গবেষণা সংস্থা এজেন্সি ফর স্ট্র্যাটেজিক ইনিশিয়েটিভসের এক অনুষ্ঠানে পুতিন এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, “বিশ্বে কোনও প্রকার একচেটিয়া আধিপত্য চিরস্থায়ী নয়। আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও বাণিজ্যে পশ্চিমা কোম্পানিগুলোর একচেটিয়া আধিপত্য চলছে। এমনকি রাশিয়ার বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ খাতেও এসব কোম্পানি এখন পর্যন্ত বেশ শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে। তবে তাদের এই আধিপত্য আর খুব বেশিদিন থাকবে না।”
ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের জারি করা বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা, রুশ কোম্পানিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু গত দেড় বছরে আঘাত অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
“রাশিয়ার ওপর যেসব নিষেধজ্ঞা পশ্চিম দিয়েছে, তা রুশ অর্থনীতিকে ভেঙে ফেলতে পারেনি— এটা ইতোমধ্যে প্রমাণিত; বরং নিষেধাজ্ঞার আঘাত আমরা কাটিয়ে উঠছি এবং আমাদের বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো ইতোমধ্যে তার প্রমাণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।”
পুতিন বলেন, “আমাদের ধাপে ধাপে এগোতে হবে। প্রথম ধাপে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন খাতে পশ্চিমা কোম্পানি ও ব্যবসায়ীদের প্রভাব খর্ব করতে হবে এবং দ্বিতীয় ধাপে এগোতে হবে বৈশ্বিক অর্থনীতির দিকে। প্রাথমিকভাবে কমনওয়েলথ জোট, সাংহাই করপোরেশন ও ব্রিকস জোটে আমাদের যেসব বন্ধু রাষ্ট্র রয়েছে, তাদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগের হার বাড়াতে পারি।”
“আমরা চাই রুশ কোম্পানিগুলো আমাদের ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য, প্রযুক্তি ও পরিষেবার উৎপাদন বৃদ্ধি করুক। একমাত্র তাহলেই আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জন হবে।”
Leave a Reply