দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন এ বাজেট গরিবের জন্য, ধনীর জন্য, সবার জন্য। মূল্যস্ফীতি নিয়ে সরকারও শঙ্কিত মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, যেসব কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়ে, তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি আমরা। প্রয়োজনে খাদ্য আমদানি করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আমরা যখন দায়িত্ব নিই, তখন মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১২ শতাংশ। আমরা মূল্যস্ফীতির এই টার্গেট অর্জন করতে পারবো। আইএমএফ থেকে যে ঋণ নিয়েছি, তা আমাদের দেড় মাসের রেমিট্যান্সের সমান।
যদিও চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার ধরা হয়েছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার ধরা হযেছে ৬ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফের পরামর্শে বাজেট করিনি। তাদের সুপারিশ যা ভালো লাগে, সেগুলো আমরা গ্রহণ করি; যা ভালো লাগে না, তা গ্রহণ করি না। এ ছাড়া কয়েক মাসের মধ্যে রিজার্ভ স্বাভাবিক হবে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার (২ জুন) বেলা ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট-উত্তর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অর্থমন্ত্রী এই দাবি করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফের সঙ্গে কাজ করা ভালো। তারা অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেয়, সহায়তা দেয়। তবে আমরা আইএমএফের কথামতো বাজেট করিনি। যদিও আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থা দেশের রাজস্ব আয় বাড়ানোর কথা বলেছে। সেই হিসাবে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শর্ত না মানলেও তাদের যেসব পরামর্শ আমাদের জন্য প্রয়োজনীয়, সেসব বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় অর্থমন্ত্রী ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থসচিব, ইআরডি সচিবসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
একজনও কালো টাকা সাদা করেনি : অর্থমন্ত্রী
গত এক বছরে একজনও কালো টাকা সাদা করেনি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মুস্তফা কামাল বলেন, গত বছরের বাজেটে বলেছিলাম, কেউ যদি অপ্রত্যাশিত টাকা দেশে নিয়ে আসে, তাহলে সেই টাকার কোনো কর দিতে হবে না। গত বাজেটে এ সুযোগটি দেওয়ার পরও এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রত্যাশিত টাকা বাংলাদেশে আসেনি। তাই এবারের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি।
গত অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, কেউ যদি বিদেশ থেকে অর্থ আনেন, তাহলে ৭ শতাংশ কর দিলেই হবে। আর বিদেশে থাকা স্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে না আনলে ওই সম্পদের মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ এবং বিদেশে থাকা অস্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে না আনলে এর ওপর ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হবে। গত বছরের ১ জুলাই থেকে চলতি মাসের ৩০ জুন পর্যন্ত অর্থাৎ এক বছরের জন্য এ সুবিধা বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছিল।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয় ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি