December 22, 2024, 2:42 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
বাসের ট্রিপ বাড়ানোকে কেন্দ্র করে বৈঠকে কুষ্টিয়ার বাস শ্রমিকদের মারধরের জের ধরে কুষ্টিয়া থেকে ডাকা বাসমালিক-শ্রমিকদের ‘ধর্মঘট’ চতুর্থ দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। আজ দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠক হবে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। বৈঠকে সুরাহা না হলে কুষ্টিয়া থেকে সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাসমালিক-শ্রমিকরা।
আজ সোমবার সকালেও কুষ্টিয়া থেকে ফরিদপুর ও খুলনার উদ্দেশে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।
এর আগে গত রোববার কুষ্টিয়া বাসমালিক-শ্রমিকেরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে প্রায় চার ঘন্টা বৈঠক করেন। ঘটনার পেছনের সকল বিষয়গুলো সেখানে উঠে আসে। বৈঠকের পর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানিয়েছিলেন কুষ্টিয়া থেকে যেসকল দাবিগুলো উঠে এসেছে তা তিনি ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সেখানকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের জানিযেছেন।
আজ সোমবার সকালে জেলা প্রশাসক জানান ঝিনাইদহ থেকে আসা জবাবের প্রেক্ষিতেই আজ উভয় পক্ষকে নিয়ে তার কার্যালয়ে বৈঠক হবে। এই বৈঠকে উভয় জেলা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও দুই জেলার বাসমালিক-শ্রমিকরা উপস্থিত থাকবেন।
কুষ্টিয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক গ্রুপের সভাপতি আখতারুজ্জামান জানান রবিবারই সমস্যা মিটে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেটেনি। সমস্যা না মিটলে সোমবার সকাল থেকে কুষ্টিয়ার সব ধরনের পরিবহন বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল।
“তবে যেহেতু আজ একটি সভা আহ্বান করা হয়েছে এবং বৈঠকে তারাও (ঝিনাইদহ) আসবে। এই সভায় কি সিদ্ধান্ত হয় দেখা হবে। এর উপর নির্ভর করছে পরবর্তী সিদ্ধান্ত,” জানান তিনি।
বৈঠক হবে বেলা ১১টায়।
গত শুক্রবার সকাল থেকে কুষ্টিয়া-ফরিদপুর ও কুষ্টিয়া-খুলনা রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ আছে। এতে ঝিনাইদহ, যশোর ও খুলনাগামী যাত্রীদের দুর্ভোগে এখন চরমে উঠেছে। খুলনা ও ফরিদপুর থেকে যাত্রীরা সরাসরি কুষ্টিয়া অসতে পারছেন না। তাদেরকে ঝিনাইদহ এসে সেখান থেকে ভিন্ন পন্থায় কুষ্টিয়া পৌঁছাতে হচ্ছে। এতে সময় অর্থ দুটোই বেশী অপচয় হচ্ছে। তারপর রয়েছে বাড়তি ভোগান্তি। গরম ও রোযা বিষয়টিকে আরও যন্ত্রনাকাতর করে তুলছে।
সোমবার সকালে কুষ্টিয়ার মজমপুর বাস স্ট্যান্ড ও চৌরহাস বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায় অনেক যাত্রী সকল ভোগান্তি মাথায় নিয়েই যাতায়াত করছেন।
আনোয়ারুল হক নামের এক যাত্রী জানান তিনি সেহরী খেয়ে ঝিনাইদহ থেকে কুষ্টিয়া রওনা হন। কুষ্টিয়ার চৌরহাস মোড়ে আসতে তার সময় সময় লেগেছে তিন ঘন্টা। অথচ এটি পঁয়তালিশ মিনিটের একটি পথ। ঝিনাইদহ থেকে তিন ধাপে কুষ্টিয়া পৌঁছেছেন। ভাড়া বাড়তি গুনতে হয়েছে ১৪০টা। এ রুটে বাসবাড়া ৭০ টাকা। তিনধাপে ভেঙে আসতে তার খরচ হয়েছে ২১০ টাকা।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম জানান তিনি আশাবাদী সমস্যঅ মিটে যাবে। তিনি উভয় পক্ষকে ছাড় দেয়ার মানসিকতা দেখানো অনুরোধ জানান।
সমস্যা সৃষ্টি হয় ঝিনাইদহে। ঝিনাইদহ মোটরশ্রমিক নেতারা বাসের নতুন ট্রিপ চেয়ে আসছি্েরলন কুষ্টিয়ার কাছে। এটা নিয়ে ৫ এপ্রিল ঝিনাইদহে একটি বৈঠকে কুষ্টিয়ার বাসের স্টাফদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। এমন অবস্থায় পরিবহন সংশ্লিষ্ট পাঁচটি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বাসশ্রমিক, মালিক গ্রুপ উভয় মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ৭ এপ্রিল থেকে ধর্মঘট ডেকে দেয়।
Leave a Reply