দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কে কিভাবে তাকে নির্যাতন করেছে অভিযুক্তদের সামনেই একটি তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগকারী ফুলপরী খাতুন। আজ (বুধবার) তৃতীয় দিনের মতো তদন্ত কমিটির কাছে তার বক্তব্য দিয়ে বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানিয়েছেন।
এ সময় ফুলপরীর বাবা আতাউর রহমান তার সাথে ছিলেন।
ফুলপরী খাতুনের এই কথার সত্যতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের করা তদন্ত কমিটির একজন সদস্য। তবে তিনি জানান এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর রেবা মন্ডল।
ফুলপরী আজ তিনিটি তদন্ত কমিটির কাছেই তার বক্তকব্য দিয়েছেন।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ফুলপরী খাতুন তার বাবা আতাউর রহমানের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। সেখান থেকে সহকারী প্রক্টর জয়শ্রী সেন একটি গাড়িতে করে তাকে তদন্ত কমিটির কাছে নিয়ে যান।
তিনটি কমিটি তিন জায়গাতে অবস্থান করছিল। প্রথমে তাকে নেয়া হয় শেখ হাসিনা হলে। সেখান থেকে সবশেষে তাকে নেয়াহয় আইন বিভাগে। সেখানে তিনি ্রপফেসর রেবা মন্ডলের নেনৃত্বে করা কমিটির কাছে তার বক্তব্য প্রদান করে ক্যাম্পাস থেকে বাড়ি ফেরেন।
এর আগে প্রধান গেইটের সামনে ফুলপরী সাংবাদিকদের জানান ন্যায়বিচারের দাবিতে যতবার আসা লাগবে, ততবারই তিনি আসবেন।
এদিকে ফুলপরীর উপরোক্ত বক্তব্যের সূত্র ধরে কথা বলা হয় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ ইবি শাখার সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরার সাথে। তিনি জানান মেয়েটি (ফুলপরী) তার মতো করে অভিযোগ করা অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু আমরা (তিনি ও তার সাথে অভিযুক্ত তাবাস্সুম) তার কথার সত্যতা দেখতে পাইনি। আমরা আমাদের বক্তব্য দিয়ে তার জবাব দিয়েছি।
তদন্ত কমিটির ঐ সদস্য জানান তারা প্রায় শেষের দিকে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) আমরা আমাদেও পরবর্তী কর্তব্য নির্ধারণ করবো।
তদন্ত কমিটিগুলোর সূত্র থেকে জানা যায় গঠিত তিনটি কমিটিই গত তিনদিন ধরে দফায় দফায় অভিযুক্ত ও াভিযোগকারীর বক্তব্য গ্রহণ করেছে। সর্বশেষ পর্যন্ত ঘটনার সত্যা-সত্য নিয়ে কি ধরনের তথ্য উ˜আটিত হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত কমিটির কোন সদস্যই তেমন কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
একটি সূত্র জানায়, কমিটিগুলো এখন প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে প্রতিবেদন তৈরির দিকে মনযোগ দিতে চায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সদ্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন গত ৮ ফেব্র“য়ারি দেশরতœ শেখ হাসিনা হলে আসেন। তিনি ঐ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নন। সেখানে তিনি একজন আবাসিক শিক্ষার্থীর রুমে তিনি গেস্ট হিসেবে উঠেন। সেখানে তিনি ১২ ফেব্র“য়ারি হলে অবস্থানরত ছাত্রলীগ নেতাদের মুখোমুখি হন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় কে তাকে হলে তুলেছে। এসময় আবাসিক না হওয়ায় তাকে হল থেকে চলে যেতে বলা হয়। ফুলপরী হল থেকে না গেলে ১৪ ফেব্র“য়ারি তাকে ডাইনিং রুম থেকে নিয়ে যাওয়া হয় সানজিদা চৌধুরী অন্তরার রুমে। সেখানে এক পর্যায়ে ফুলপরী র্যাগিং-এর শিকার হন।
পরে ১৫ ফেব্র“য়ারি ফুলপরী বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর, হল প্রভোস্ট ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন যে তাকে ঐ দিন রাতে ঐ রুমে ৪ ঘন্টা আটকে নির্যাতন করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের পাশাপাশি তদন্ত চলাকালে সানজিদা ও তাবাসসুম যাতে ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে না পারেন, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি