December 22, 2024, 7:07 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের একটি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত যে অডিও সামাজিক যোগাযোগে বেড়িয়ে এসেছে সেটাকে একটি ব্যক্তিগত আলাপ-আলোচনাকে সংযোজন-বিয়োজন করে সোস্যাল ও অন্যান্য মিডিয়ায় বিশেষ উদ্দেশ্যে তুলে আনা হয়েছে বলে অভিহিত করা হয়েছে। এটাকে কাল্পনিক প্রচারণা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বষয়টি খতিয়ে দেখতে ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশনকে (ইউজিসি) আহবান জানানো হয়েছে।
আজ (সোমবার) বিশ^বিদ্যালয়ের তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো একটি বিবৃতিতে এমনটা দাবি করা হয়েছে।
উক্ত দফতরের পরিচালক ড. আমানুর আমান কতৃক প্রেরিত বিবৃতিতে উপাচার্য দাবি করা হয়েছে কথিত নিয়োগ বোর্ড এখন অনুষ্ঠিতই হয়নি। পরীক্ষার ব্যাপারে কোন প্রশ্নপত্রই প্রনীত হয়নি। এতে বলা হয় ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে সাধারণতঃ নিয়োগ বোর্ডের সকল সদস্যের উপস্থিতিতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠানের ঠিক পূর্বেই তাৎক্ষনিকভাবে প্রত্যেক সদস্যের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্ন নিয়ে প্রশ্নপত্র প্রনয়ণ করা হয় এবং সদস্যদের উপস্থিতিতে কম্পিউটারে তা’ চুড়ান্ত করে
সীলগালা অবস্থায় পরীক্ষার হলে নিয়ে যাওয়া হয়। কথিত নিয়োগ পরীক্ষার ব্যাপারে এসবের কিছুই সম্পন্ন হয়নি। যেখানে কোন কিছুই ঘটেনি সেখানে এ ধরনের এক পাক্ষিক অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এতে আরও বলা হয় এই মুহুর্তে একজন শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগের মত একটি স্পর্ষকাতর বিষয় নিয়ে যখন এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং সত্য উদঘাটনের জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক একটি বিচার বিভাগীয় কমিটি, বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং হল প্রশাসন কর্তৃক গঠিত ভিন্ন ভিন্ন কমিটি
কাজ করছে ঠিক একই সময়ে বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যের সহধর্মীনি সহ একাধিক নামে ফেক আই ডি খুলে সেখান থেকে একান্তই ব্যক্তিগত আলাপ-আলোচনা সংযোজন-বিয়োজন করে সোস্যাল ও অন্যান্য মিডিয়ায় উপাচার্য নিয়োগ-বাণিজ্য করছেন এমন সব খবর প্রকাশ করা হচ্ছে।
আজও সোমবার) উপাচার্যের অফিস রুমে ফের তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছে চাকরিপ্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদ নাম দিয়ে তারা বিশ^বিদ্যালয়ে তাদের চাকুরী দেবার দাবী করে আসছেন। আন্দোলনকারীরা বিশ্বাবিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করতো।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে তারা উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। আন্দোলনকারীদের বেশিরভাগই সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও স্থানীয় বলে জানা গেছে।
এর আগে একই দাবিতে গতকাল রোববার বেলা ১১টায় উাপাচার্যের কার্যালয়ে তালা দিয়ে কর্মসূচি পালন করে তারা। এ সময় তারা উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় উপাচার্যের কার্যালয়ের তালা খুলে দেন।
এ ব্যাপারে উপাচার্য প্রফেসর সালাম বলেন তিনি কোন অপরাধই করেননি। যেখানে পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়নি এবং নিয়োগও হয়নি সেখানে এ ধরনের অভিযোগ অগ্রহনযোগ্য। উপাচার্য বলেন কারো অন্যায় কোন দাবীর কাছে তিনি মাথা নত করতে রাজি নন।
উল্লেখ্য শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ‘ফারাহ জেবিন’ ও ‘মিসেস সালাম’ নামে দুইটি ফেসবুক আইডি থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ও শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) উপাচার্যের পরপর পাঁচটি ফোনালাপের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। অডিওতে পরীক্ষার আগেই চাকরির প্রশ্নফাঁস ও শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে শোনা যায়।
Leave a Reply