দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
দুটি তদন্ত কমিটির কাছে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নির্যাতনের’ শিকার সেই শিক্ষার্থী। বিকাল ৫টা পর্যন্ত দুটি তদন্ক কমিটি তার বক্তব্য গ্রহন করে।
এর আগে শনিবার ঐ ছাত্রীকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ক্যম্পাসে নিয়ে আসা হয়। সাড়ে ১২টার দিকে তাকে নিয়ে একটি পুলিশ ভ্যান ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। তাকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় দেশরতœ শেখ হাসিনা হলে।
সূত্র জানিয়েছে, সেখানে বিশ^বিদ্যালয় কতৃক গঠিত সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্টকে নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে মেয়েটি বক্তব্য তার বক্তব্য পেশ করেছে।
ভুক্তভোগী ঐ মেয়েটি শিক্ষার্থী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২০২২ বর্ষের শির্ক্ষাথী। মেয়েটি অনাবাসিক শিক্ষার্থী।
অভিযোগ থেকে জানা যায় ঐ ছাত্রীর হলে কোন সিট না থাকায় তিনি ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরুর দিনে দেশরতœ শেখ হাসিনা হলের এক আবাসিক ছাত্রীর রুমে উঠেন। এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি নির্যাতনের শিকার হন।
এর আগে বিশ^বিদ্যালয় কতৃক গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি মেয়েটিকে ক্যাম্পাসে আসার জন্য আহবান জানায়।
বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর শাহাদাৎ হোসেন আজাদ জানান মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশের আলোকে তদন্তের স্বার্থে তাকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিয়ে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি জানান দুটি তদন্ত কমিটিই মেয়েটির বক্তব্য গ্রহন করবে।
ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননূর যায়েদ জানান নিরাপত্তার জন্য ক্যম্পাসে পুলিশ রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতৃক গঠিত তদন্ত কমিটি প্রথম মেয়েটির বক্তব্য গ্রহন করে। তদন্ত কমিটির আহবায়ক আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডলের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি মেয়েটির সাথে প্রওায় একঘন্টার একটি বৈঠক করেন। এক ফাঁকে কমিটির আহবায়ক রেবা মন্ডল মেয়েটিকে নিয়ে দু দ’ফায় যে রুমে তাকে নিয়ে ঘটনা ঘটে সেই রুম পরিদর্শন করেন। সেই রুমটি ছিল ছাত্রলীগ নেত্রী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সানজিদা চৌধুরীর।
এরপর হল প্রশাসন কতৃক গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে তার বক্তব্য পেশ করেন। কমিটির আহবায়ক আহসানুল হকের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের কমিটি তার বক্তব্য গ্রহন করে।
এ সময় ঘটনাস্থলে প্রক্টর, হল প্রভোস্ট ও হলের বিভিন্ন পর্যায়ের হাউজ টিউটর ও কর্মকর্তারা তদন্ত কমিটিকে সহায়তা করেন।
এ দুটি কমিটিকে গত বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত রির্পোট হাইকোর্টে জমা দিতে নিদের্শ দেয়া রয়েছ্ ে
প্রক্টর প্রফেসর শাহাদাৎ হোসেন আজাদ জানান মেয়েটির বক্তব্য দানের পর তাকে পুলিশ প্রহরায় তাকে তার ইচেছ অনুযায়ী কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার আলাউদ্দিন নগর পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এসময় পুলিশ টিমের সাথে ছিলেন সহকারী প্রক্টর জয়স্রী সেন।
প্রক্টর জানান এরপরও যদি কোন তদন্ত কমিটির মনে মেয়েটির সাথে আরো কথা বলা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে হাইকোর্টের নিদের্শ অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন হাইকোটের পূর্ণাঙ্গ আদেশ হাতে পাবার পর কমিটি গঠনের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রটি জানায় কমিটি গঠনের দিন থেকে ১০ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসন হাইকোর্টকে রির্পোট জমা দেবে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি