দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে জড়িতদের হাইকোর্টে তলব করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
বুধবার রিট দায়েরের পর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়। আদালত শুনানির জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেন।
জনস্বার্থে রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ছাক্রশিবির নেতা গাজী মো. মোহসীন। স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব, ইবির ভিসি, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে সকালে ঘটনা হাইকোর্টের নজরে আনা হয়।
ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন ঐ দুই আইনজীবি। তখন আদালত আইনজীবীদের লিখিত আবেদন নিয়ে আসতে বলেন।
এদিকে নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে একটি ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। আইন বিভাগের প্রফেসর ও আইন বিভাগের সভাপতি ড. রেবা মন্ডলকে আহবায়ক করে বুধবার এ কমিটি গঠিত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগ।
তদন্ত কমিটিকে আগামী দিন সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী নিজেও পুরো ঘটনা সত্য নয় বলে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনার পুঙ্খানুপূঙ্খ শুনানী করতে চেয়ে আইনজীবীকে লিখিত আবেদন নিয়ে আসতে নিদের্শ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনা হলে তারা এ নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নজরে আনেন হাইকোর্টের আইনজীবী ও সাবেক ছাত্র শিবির নেতা গাজী মো: মহসীন ও আইনজীবী আজগর হোসেন তুহিন।
বুধবার সকালে উপাচার্য তার অফিসে জরুরী সভা করেন সেখানে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সভায় উপাচার্য যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের কঠোরভাবে দমন করা কথা বলেন।
গঠিত তদন্ত কমিটি দুটি অভিযোগেরই তদন্ত করবে।
কমিটির অন্যান্য সদসরা হলেন একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) আলীবদ্দীন খান সদস্যসচিব, সদস্য হলেন প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি দেবাশীষ শর্মা, খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট ইয়াসমিন আরা সাথী ও সহকারী প্রক্টর মুর্শিদ আলম।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক রেবা মণ্ডল জানিয়েছেন তারা যতদ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করবেন।
অভিযোগের ব্যাপারে সানজিদা চৌধুরী আবারও বলেছেন অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। যা ঘটেনি তাই বলেছে মেয়েটি। তিনি জানান যা ঘটেছে তা জানাতে তিনি নিজেও একটি লিখিত দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন ঘটনার সত্যাসত্য উদ্ঘাটন করতে তারাও প্রশাসনকে অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন অভিযোগ প্রমাণ হলে সাংগঠনিকভাবেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন তিনি হল পরিদর্শন করেছেন। ছাত্রীরা পূর্ণ নিরাপদে আছেন।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি