December 22, 2024, 9:20 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ খাতকে শক্তিশালী করতে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) মাধ্যমে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এর আওতায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অর্থায়নকারী ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর (এমএফআই) তারল্য প্রবাহ বাড়বে। পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ তহবিল সরবরাহ করা হবে।
এডিবি মনে করে ক্ষুদ্র উদ্যোগ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি, গ্রামীণ দারিদ্র্য দূর এবং শহর-গ্রামের বৈষম্য কমাতে এই কার্যকর ব্যবস্থা। করোনা-পরবর্তী সময়ে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন করা জরুরি। পিকেএসএফ ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানকে বেশি অর্থায়ন করতে পারলে প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক নির্ভরতা কমবে।
ইতোমধ্যে ঋণ বিষয়ে সরকার ও এডিবি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ ঋণের অর্থ দিয়ে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তা করা হবে। বিশেষ করে নারী এবং জলবায়ু পরিবর্তনের উচ্চঝুঁকিতে থাকা এলাকার উদ্যোক্তারা এতে অগ্রাধিকার পাবেন।
প্রকল্পটির আওতায় ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে পিকেএসএফ যে অর্থায়ন করবে তার অন্তত ১০ শতাংশ পাবেন বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও খরাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চলের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা।
এ প্রকল্পে অর্থায়নের ৮০ শতাংশ করা হবে নারীদের মালিকানায় বা পরিচালনায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ জন্য পিকেএসএফের জন্য একটি পথনকশাও তৈরি করা হবে। এ ছাড়া এর আওতায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অর্থায়নে উৎসাহিত করতে পিকেএসএফে পরীক্ষামূলকভাবে একটি ক্রেডিট গ্যারান্টি ফান্ড চালু করা হবে।
এ ফান্ড চালু করা এবং নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বাড়াতে ১০ লাখ ডলারের একটি কারিগরি সহায়তা দেওয়া হবে। গত দশকে বাংলাদেশে দারিদ্র্য অনেক কমেছে। তবে গ্রাম এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ এখনো খুব সীমিত। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর বেড়ে ওঠা ও তাদের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির একটি পথ হচ্ছে ক্ষুদ্রঋণ। এই ঋণ এ ক্ষেত্রে অর্থায়ন বাড়াতে সহায়ক হবে বলে মনে করছে এডিবি।
‘মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ ফাইন্যান্সিং অ্যান্ড ক্রেডিট এনহ্যান্সমেন্ট’ প্রকল্পটি ২০১৮ সালে চালু হয়েছে। ওই বছর এডিবি এ প্রকল্পে ৫ কোটি ডলার ঋণ দেয়। এর পর করোনার সময়ে ২০২০ সালে আরও ৫ কোটি ডলার অর্থায়ন করে সংস্থাটি। এখন আবার ২০ কোটি ডলার দেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply