December 22, 2024, 8:42 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
মুখোমুখি হতেই হবে যেহেতু হিসেব-নিকেশ করতে কারো কোন কমতি নেই তাই। শেষ মুহুর্তে যে হিসেবটি উঠে এসছে সেটি হলো দল আর্জেন্টিনা কখনও সেমিতে হারেনি। সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে দুইবারের সাবেক চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও গতবারের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া। লড়াইটা ফাইনালে উঠার।
কাতার বিশ্বকাপের আগে আর্জেন্টিনা যে পাঁচটি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে; সেগুলো হচ্ছে- ১৯৩০ উরুগুয়ে বিশ্বকাপ, ১৯৭৮ ঘরের বিশ্বকাপ, ১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপ, ১৯৯০ ইতালি বিশ্বকাপ ও ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে। এর মধ্যে ১৯৭৮ সালে নিজ দেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে কোনো সেমিফাইনাল ছিল না। প্রথম রাউন্ড শেষে ৮ দল নিয়ে হয়েছিল দ্বিতীয় পর্ব। দুই গ্রুপে খেলা শেষে শীর্ষ দুই দল খেলেছিল ফাইনাল। আর্জেন্টিনা ৩-১ গোলে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে জিতেছিল প্রথম শিরোপা।
চার সেমিফাইনালের প্রথমটি আর্জেন্টিনা খেলেছিল ১৯৩০ সালে। প্রতিপক্ষ ছিল যুক্তরাষ্ট্র। আর্জেন্টিনা ৬-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে জিতে উঠেছিল ফাইনালে। তবে স্বাগতিক উরুগুয়ের কাছে ফাইনালে আর্জেন্টিনা হেরেছিল ৪-২ গোলে। আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় ও শেষবার বিশ্বকাপ জিতেছে ১৯৮৬ সালে মেক্সিকোতে। সেবার আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালে ম্যারাডোনার জোড়া গোলে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল বেলজিয়ামকে। ফাইনালে জার্মানিকে ৩-২ গোলে হারিয়েছিলেন ম্যারাডোনারা।
১৯৯০ সালে ইতালিতে অনুষ্ঠিত পরের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা সেমিফাইনাল খেলেছিল স্বাগতিকদের বিপক্ষে। টাইব্রেকারে জিতেছিলেন ম্যারাডোনারা। তবে ফাইনালে প্রতিশোধ নিয়ে জার্মানি জিতেছিল ১-০ গোলে। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা সেমিফাইনাল খেলেছিল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্যভাবে শেষ হলে গোলরক্ষক রোমেরোর কৃতিত্বে আর্জেন্টিনা জিতেছিল ৪-২ ব্যবধানে। ফাইনালে জার্মানির কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল আর্জেন্টিনা।
এদিকে চলতি বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়া মোটে একটিই ম্যাচ জিতেছে। তাও গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে। এর আগে-পরে গ্রুপপর্বের দুই ম্যাচে করতে পারেনি কোনো গোলই, ড্রতে শেষ হয়েছে মরক্কো ও বেলজিয়ামের বিপক্ষে দুটো ম্যাচ। এরপর জাপান আর ব্রাজিলের বিপক্ষে একটি করে গোল করেছে, দুটো খেলাই ক্রোয়াটরা জিতেছে টাইব্রেকারে।
মেসিকে নিয়ে কী ভাবছেন, তাও জানালেন ডালিচ। তাকে কী করে আটকাবেন, জানালেন সেটাও। তার ভাষ্য, ‘মেসিকে আটকানোর প্রশ্নে আমরা বিশেষ মনোযোগই দিয়েছি। তাকে ম্যান মার্ক করে আটকানো যাবে না। আমরা শেষ বারও এমন করিনি, এবারও তা করব না। আমরা তার কাছে আসা পাসগুলো আটকে দিতে চেষ্টা করব, তাকে খুব বেশি জায়গা দেবো না।’
মেসির খেলার ধরনটাও পুরোপুরি পড়ে ফেলেছেন ডালিচ, এবার তাকে আটকে দেওয়ার পালা, জানালেন ক্রোয়াট কোচ। বললেন, ‘সে খুব বেশি দৌড়ায় না। সে বলের পেছনেও ছোটে না। সে অপেক্ষা করে, বল পেলে সব শক্তি দিয়ে আক্রমণ করে। আমাদের এদিকে মনোযোগ দিতে হবে।’
আর্জেন্টাইন অধিনায়ক কী করতে পারেন, সেটা নিয়েও ধারণাটা নেহায়েত কম নেই ডালিচের। তিনি বলেন, ‘মেসি শেষ দশ বছর ধরে বিশ্বসেরা। তার যে গুণ আছে, তা অবিশ্বাস্য। তার মুখোমুখি হওয়ার আগে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে আমাদের। সে এবার খুবই উজ্জীবিত, তাকে মোটেও জায়গা দেওয়া চলবে না আমাদের। এটাই সম্ভবত তার শেষ বিশ্বকাপ, আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বজয়ের শেষ সুযোগ।’
Leave a Reply