দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
ঘটনাটি এখনও অনেকের মনে নাড়া দেয়। বিশেষ করে যারা ঐ দিন সকালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসমুখী হয়েছিল। দগদগে রক্তমাখা সেই কাটা মাথা এখনও অনেকের মনে পড়ে। ঘটনাটি ছিল ২০০৯ সালের ২৭ জুনের।
ঐ ঘটনার ১৩ বছরে রায় হলো। এতে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এ রায় শুনিয়েছেন।
টেন্ডার বিরোধের জের ধরে লিটন বিশ্বাস (৩০) নামে এক যুবককে গলাকেটে হত্যা করা হয়। মাথাটি ছিল তারই।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার পশ্চিম আব্দুল্লাহপুর গ্রামের ইছাক মাস্টারের ছেলে আলী রেজা সিদ্দিক বুলবুল ওরফে বড় কালু, একই উপজেলার মৃত্তিকাপাড়া এলাকার মৃত এছেম আলীর ছেলে মনোয়ার ওরফে মনো এবং মাইজপাড়া এলাকার জলিলের ছেলে লিয়াকত।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা উপস্থিত ছিলেন না। তারা পলাতক রয়েছেন। আসামিরা গণমুক্তি ফৌজের সক্রিয় সদস্য ও শীর্ষ সন্ত্রাসী। তারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৭ জুন বিকালে বাড়ি থেকে বের হয় লিটন। সেদিন রাতে সে বাড়ি ফিরে না। নিখোঁজের পরের দিন ২৮ জুন সকালের দিকে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে থেকে লিটনের দেহবিহীন রক্তাক্ত মাথা উদ্ধার করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ। আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে টেন্ডার বিরোধের জেরে লিটনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ওই দিন নিহতের বাবা ও ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার গোলকনগর গ্রামের মৃত চেতন আলী বিশ্বাসের ছেলে আজিবর বিশ্বাস বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ইবি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মজিবুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এ মামলার ২১ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি