December 22, 2024, 9:12 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
বর্ণিল আলোকসজ্জা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়ার ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা ও নবাগত শিক্ষার্থীদের বরণ ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হলের প্রভোস্টের নেতৃত্বে প্রায় কয়েকশো শিক্ষার্থী বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার ম্যধ দিয়ে অংশ নেন এ অনুষ্ঠানে।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগমখালেদা জিয়া হলের মুক্ত প্রাঙ্গনের স্থায়ী মঞ্চে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক ও নবীন শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচছা জানানো হয়।
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও খালেদা জিয়া হল প্রভোস্ট ড. ইয়াসমিন আরা সাথীর সভাপতিত্বে বিশ্বের অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও শেখ রাসেল হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মিয়া রাশিদুজ্জামান, প্রেস প্রশাসক ড. সাজ্জাদ হোসেন, তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের পরিচালক ড. আমানুর আমান প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, বিদায় মানেই বিচ্ছেদ এমন নয়। যারা একটি বিশ^বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন তারা সবাই আজীবন সেই বিশ^বিদ্যালয়েরই সদস্য ; আলামনাই। তাই কখননোই এই সম্পর্ক বিচ্ছেদ নয় কোন মতেই।
তিনি বলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা পড়াশোনা শেস করেছে তারা এই ক্যাম্পাসেরই সন্তান হিসেবে অন্য কোন জায়গায় প্রফেশনাল এক্টিভিটিতে যুক্ত হবে। কিন্তু তারা ইবির সাথে জড়িত থাকবে।
তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমরা ভালো জিনিসকে অনুসরণ ও খারাপকে বর্জন করবে। মূলত মানসিকভাবে নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন তিনি এই বিশ^বিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী ছিলেন। জীবনের প্রতিটি মুহুর্তেই তার মনে বাস করে এই বিশ^বিদ্যালয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটি আলমামাটা। এর থেকে বিচ্ছিন্ন হবার কোন সুযোগ নেই। তিনি শিক্ষার্থীদের জীবনের সফলতার উপর জোর দিয়ে বলেন লেখাপড়া দিয়ে সফলতা অর্জন করতে পারলেই জীবনকে সার্থক হবে
প্রভোস্ট ড. ইয়াসমিন আরা সাথী উল্লেখ করেন তিনি হলে যোগদানের পর থেকেই মেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করেছেন, কাউন্সেলিং করেছেন। বাইরে থেকে সাইক্রিয়াইস্ট নিয়ে কাউন্সেলিং করিযেছেন। ত্রিশ টাকায় উন্নতমানের খাবার দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও তিনি আরো কিছু করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে জানান।
Leave a Reply