December 22, 2024, 8:47 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ও প্রতিন্ঠার পর ধরন পরিবর্তন করা যাবে না। সম্প্রতি চূড়ান্ত করা ২০২২ সালের ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক) স্থাপন, পাঠদান ও অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি প্রদান নীতিমালা’য় এমন বিধিবিধান যুক্ত করা হয়েছে। আর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করার ক্ষেত্রে ২০০৯ সালে জারি করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার বিষয়টি সংযুক্ত করা হয়েছে নতুন নীতিমালায়।
নতুন নীতিমালার ৫.৩ ধারায় বলা হয়, ‘প্রতিষ্ঠানের ধরন রূপান্তর: বালিকা/নারীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠাকে সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধরন পরিবর্তন/রূপান্তর করা যাবে না। বালক বিদ্যালয়/মহাবিদ্যালয়কে সহশিক্ষায় রূপান্তর করা যাবে।’
নীতিমালার ৫.৪ ধারায় বলা হয়, ‘কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সাধারণ শিক্ষায় পরিবর্তন/রূপান্তর করা যাবে না এবং সাধারণ শিক্ষার কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না।’
২০২২ সালের নতুন নীতিমালায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, পাঠদান অনুমোদন ও অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতির অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা শিক্ষা বোর্ডকে দেওয়া হলেও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে প্রতিষ্ঠান করার ক্ষেত্রে তা দেওয়া হয়নি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান করতে সরাসরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করতে বলা হলেও বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্য, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের ৭ বীরশ্রেষ্ঠ, অমর একুশের ভাষা শহীদ, সরকার বিবেচিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে হলে আবেদন করতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। এরপর মন্ত্রণালয় সেটি যাচাই-বাছাই করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদনের জন্য পেশ করবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর এসব ব্যক্তির নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা যাবে। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে নামকরণ করতে কোনও অর্থ জমা দিতে হবে না।
মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার প্রতিযোগিতা শুরু হলে ২০০৯ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক আদেশ জারি করে। ওই আদেশে বলা হয়েছিল— বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্য, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের ৭ বীরশ্রেষ্ঠ, অমর একুশের ভাষা শহীদ, সরকার বিবেচিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আবেদন যাচাই-বাছাই করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদনের জন্য পেশ করবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে নামকরণ করতে পারবে। এই বিধিবিধানটি নতুন নীতিমালায় যুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক) স্থাপন, পাঠদান ও অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি প্রদান নীতিমালা-২০২২ জারি করে। নতুন নীতিমালায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, পাঠদান ও অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতির দায়িত্ব দেওয়া হয় শিক্ষা বোর্ডগুলোকে।
Leave a Reply