দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় একটি সাধুসঙ্গে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮ জন বাউল হয়েছেন। আহতা দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার লাউবাড়িয়া গ্রামে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও হামলাকারীরা কেউ গ্রেফতার হয়নি।
জানাগেছে, লাউবাড়িয়া গ্রামের লালন ভক্ত পলান মন্ডল শনিবার রাতে নিজ বাড়িতে ঘরোয়া পরিসরে দুই দিনের একটি সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এটা তিনি প্রতি বছরই করে থাকেন। এই সাধুসঙ্গে বিভিন্ন জায়গা থেকে বাউল, সাধু, লালন ভক্ত ও অনুসারীরা সাধুসঙ্গ যোগ দিয়ে থাকেন।
আহত বাউলরা নাম প্রকাশ না বলেন রাতে ৯টার দিকে সেবা গ্রহণের সময় একই এলাকার আজাদ, বাবুল, রফি, মাসুম, ছালামত, জিয়ার আলী, মোশারফ হোসেন, বশির, সাইফুল, সুমন, আরিফুল ইসলাম সহ আরো ১০-১২জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্বিত হয়ে সেবারত সাধুদের ওপর হামলা চালায়।
বাউল মাজেদা ফকিরাণী জানান হামলাকারীরা ধারাল অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে সাধুদের এলোপাথাড়িভাবে মারপিট করে। এসময় বাউলরা কোন প্রতিবাদ করেনি
এসময় সাধুসঙ্গের আয়োজনকারী পলান মন্ডল দূবৃর্ত্তদের বাধা দিতে গেলে তাকে বেশী মারধোর করা হয় এবং বন্ধ করে দেয়া হয়। হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে গেলে বাউল সাধুদের মধ্যে আহতদের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
দূবৃর্ত্তদের হামলায় পলান মন্ডল (৩৭), পলাশ মন্ডল (৩০), প্রবীণ সাধু ফজল ফকির (৭০), মাজেদা ফকিরানী (৫০) ও আকলিমা খাতুন (৪০) সহ অন্তত ৮জন বাউল, সাধু ও লালন ভক্ত আহত হন।
এ ঘটনায় বাউল পলান মন্ডল বাদী হয়ে রবিবার দুপুরে দৌলতপুর থানায় এজাহার দিয়েছেন। তবে কেউ আটক বা গ্রেফতার হয়নি বলে অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন।
গ্রামের আনিস উদ্দিন সরকার জানান বাউলদের কাজ কর্মে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ নয়। কারন এখানে প্রতিবছরই অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। তবে এইচএসসি পরীক্ষার কারনে এলাকার লোকজন এবার বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি।
এ বিষয়ে পলান মন্ডল জানান পরীক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে এবার তারা সাধুসঙ্গ করছিল কোনরকম লাউডস্পিকার ছাড়া। তিনি জানান তিথির বিষয় জড়িত থাকায় তারা সাধুসঙ্গ আয়োজন করতে বাধ্য হন।
সাধুসঙ্গে হামলার ঘটনায় দৌলতপুর থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, এইচএসসি পরীক্ষা চলার কারনে প্রতিবেশীরা সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠানে গিয়ে গান-বাজনা বন্ধ করতে বলে। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে।
তিনি জানান পুলিশ অভিযোগ গ্রহন করেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার রবিবার রাতে জানান দুবৃত্তদের ধরা হবে। পুলিশ কাজ করছে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি