দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
বিদ্যুতের গ্রিড বিপর্যয়ের তদন্ত শেষের পথে। দেশের চার বিতরণ কোম্পানির গঠন করা চার তদন্ত কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, রবিবার (২৩ অক্টোবর) নাগাদ প্রতিবেদনগুলো মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হতে পারে। গ্রিড বিপর্যয়ের দিন দুটি প্রতিষ্ঠানই বরাদ্দ পাওয়া লোডের চাইতে বেশি বিদ্যুৎ নিচ্ছিলো বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এমনটি কেন করা হচ্ছিলো এবং কারা এর জন্য দায়ী—এটি এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি বলে সূত্রগুলো জানায়।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) তদন্ত কমিটি ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টার (এনএলডিসি) পরিদর্শন করে তথ্য যোগাড় করেছে বলে জানা যায়।
পিডিবি এবং ডিপিডিসি বলছে, ইতোমধ্যে তাদের যে ফাইন্ডিংস তাতে দেখা যাচ্ছে—গ্রিড বিপর্যয়ের দিন দুটি প্রতিষ্ঠানই বরাদ্দ পাওয়া লোডের চাইতে বেশি নিচ্ছিলো। তবে এমনটি কেন করা হচ্ছিলো এবং কারা এর জন্য দায়ী এটি এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
ডিপিডিসি এবং আরইবি বলছে, তারা এখন কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। এখনও তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে।
ডিপিডিসি তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বিতরণ কোম্পানিটির প্রধান প্রকৌশলী (গ্রিড) এ এইচ এম মহিউদ্দিন বলেন, আমরা আজকে এনএলডিসি পরিদর্শন করেছি। তবে এখনও কিছু তথ্য-প্রমাণের ঘাটতি রয়েছে। আশা করছি, আগামী দুদিনের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারবো।
পিডিবি তদন্ত কমিটির একজন কর্মকর্তা জানান, তারা বরাদ্দের বাড়তি বিদ্যুৎ নেওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন। চট্টগ্রামে বরাদ্দ লোডের চাইতে ৯ ভাগ বেশি বিদ্যুৎ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কুমিল্লা এবং ময়মনসিংহে ৩ ভাগ হারে বেশি বিদ্যুৎ নিচ্ছিলো পিডিবি। তবে সিলেটে বরাদ্দর চাইতে কম বিদ্যুৎ নেওয়া হচ্ছিলো।
গ্রিড বিপর্যয়ের পর পর পিজিসিবি একটি এবং মন্ত্রণালয় দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দায়িত্বে অবহেলায় পিজিসিবির দুই কর্মকর্তাকে গত রবিবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সেদিন দুপুরে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গ্রিড বিপর্যয়ে দায়িত্বে অবহেলার কথা উল্লেখ করে পিজিসিবির দুই কর্মকর্তাকে শাস্তির আনার কথা জানান। একই সঙ্গে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বিতরণ কোম্পানির দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান। এর একদিন পরেই ১৭ অক্টোবর চার বিতরণ কোম্পানি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
গত ৪ অক্টোবর সারাদেশ যে গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছিল ওই দিন বিতরণ কোম্পানি বরাদ্দ লোডের বাইরে বিদ্যুৎ নিচ্ছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে। পিজিসিবি বার বার লোড কমানোর কথা বললেও তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি