দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
নিজ দেশের গাধা রপ্তানি করে ভাল আয় করার স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান। চীন এ গাধার প্রধান ক্রেতা। তবে ইতোমধ্যে গাধার পাশাপাশি চীন কুকুর রপ্তানির জন্যও পাকিস্তানের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে। আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আর এই গাধা বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রায় লক্ষাধিক ডলার আয় করা সম্ভব বলেও প্রত্যাশা করছে পাক কর্তৃপক্ষ। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সিনেটের বাণিজ্যবিষয়ক স্থায়ী কমিটিকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গাধা উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিচিত পাকিস্তান। তবে বর্তমানে বিশ্বে এই গাধা উৎপাদনে শীর্ষে অবস্থান করছে স্বয়ং চীন। এরপরও তবে বিশ্বের সবচাইতে বেশি জনসংখ্যার দেশ চীনে বর্তমানে গাধার দাম অনেক বেশি। তাদের চাহিদার তুলনায় দেশটিতে এই প্রাণীর সংখ্যা অনেক কম। যে কারণে তৃতীয় শীর্ষ গাধা উৎপাদনকারী দেশ পাকিস্তান থেকে প্রাণীটি আমদানির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে চীনা সরকার।
চীন পশুর চামড়া দিয়ে অত্যন্ত দামি এবং মূল্যবান ওষুধ তৈরি করে থাকে। চীনের মানুষদের বিশ্বাস, এই ওষুধ মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অনেক বেশি শক্তিশালী করে তোলে।
পাকিস্তানের সিনেটর আবদুল কাদির জানিয়েছেন, চীনের রাষ্ট্রদূত ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার পাকিস্তান থেকে মাংস রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
সিনেটর মির্জা মুহাম্মাদ আফ্রিদি জানান, আফগানিস্তানে পশুর দাম তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় পাকিস্তান সেখান থেকে আমদানি করে পরবর্তীতে চীনে মাংস রপ্তানি করতে পারে।
গাধা রপ্তানির প্রথম ধাপে পাকিস্তান থেকে প্রায় ৮০ হাজারের মতো গাধা পার্শ্ববর্তী দেশ চীনে রপ্তানি করা হবে। পরবর্তী ধাপে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা করা হতে পারে।
এদিকে খাইবার পাখতুন প্রদেশের পশুসম্পদ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলছেন, ‘পাকিস্তানে গাধার খামার তৈরিতে বেশ আগ্রহ দেখিয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো। যে কারণে বিভিন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠান ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে।’
জানা গেছে, একাধিক গাধা-পালন প্রকল্পও চালু করছে পাকিস্তান।
চীনে বিভিন্ন ধাপে গাধা রপ্তানি করবে দেশটি। প্রথম পর্যায়ে দুর্বল গাধাদের পাঠানো হবে। প্রথম তিন বছরে ৮০ হাজার গাধা চীনে পাঠানো হবে। এর জন্য পাকিস্তানে গাধা-পালন ফার্মে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে চীনা সংস্থা।
পাকিস্তান ২০২০-২১ অর্থবছরে পাকিস্তানে গাধার সংখ্যা এক লাখের বেশি বেড়েছে। দেশটিতে গৃহপালিত এই প্রাণীর সংখ্যা এখন ৫৬ লাখ।
পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েক বছর ধরেই গাধার সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২০ সালে দেশটিতে গাধা ছিল ৫৫ লাখ। ২০২১ সালে তা ৫৬ লাখ ছাড়িয়ে যায়।
২০২১-২২ সালে কৃষিতে পশুসম্পদ প্রায় ৬২ শতাংশ মূল্য সংযোজন করেছে। আর জিডিপিতে অবদান রেখেছে শতকরা ১৪ ভাগ।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি