December 22, 2024, 6:00 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ ভারতে প্রায় ৩,০০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করতে যাচ্ছে। প্রায় ৪৯ প্রতিষ্ঠান এই রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ মেট্রিক টন করে মোট দুই হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলছেন এটা সৌজন্যের নিদর্শন।
আদেশে বলা হয়, রপ্তানি অনুমতি অন্য কোনো কোম্পানিকে হস্তান্তরের করা যাবে না বা কোনো ধরনের সাব-কন্ট্রাক্ট করা যাবে না। শুধুমাত্র অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ইলিশের চালান রপ্তানি করতে পারবে।
ইলিশ রপ্তানির শর্তে বলা হয়েছে, রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এর বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে, শুল্ক কর্তৃপক্ষ দ্বারা রপ্তানি করা পণ্যের কায়িক পরীক্ষা করাতে হবে, প্রতিটি কনসাইনমেন্ট শেষে রপ্তানি সংক্রান্ত কাগজপত্র রপ্তানি-২ অধিশাখায় দাখিল করতে হবে, অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ পাঠানো যাবে না।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘গত টানা তিন বছর ধরে পবিত্র দুর্গোৎসবের প্রক্কালে ১৫-২০ দিন ধরে আমরা সৌজন্যের নিদর্শন হিসেবে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করে আসছি।’
২০২১ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রায় ২০০টি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের বিপরীতে ভারতে চার হাজার ৬০০ টন ইলিশ রপ্তানির জন্য ১১৫টি সংস্থাকে অনুমোদন দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাত্র এক হাজার ১০০ টন রপ্তানি হয়।
২০২০ সালে প্রায় এক হাজার ৪৫০ টন ভারতে রপ্তানি করা হয়েছিল এবং সে বছর ১৮টি সংস্থা অনুমতি পায়। ২০১৯ সালে শুধুমাত্র একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান অনুমতি পেয়েছিল এবং এটি ৫০০ টন মাছ রপ্তানি করেছিল।
রপ্তানি নীতিমালার আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি নিষিদ্ধ। তবে প্রতি বছর দুর্গাপূজার আগে দেশের বিপুল সংখ্যক রপ্তানিকারক ভারতে ইলিশ পাঠানোর অনুমতি চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন।
রোববার মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি-২ শাখার এক চিঠিতে এ অনুমতি দেওয়া হয়। আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রককে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, রপ্তানি পারমিট অন্য কোম্পানিকে হস্তান্তরের করা যাবে না বা কোনো ধরনের সাব-কন্ট্রাক্ট করা যাবে না। শুধুমাত্র অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ইলিশের চালান রপ্তানি করতে পারবে।
Leave a Reply