December 22, 2024, 3:39 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
হঠাৎ করেই কুষ্টিয়াতে বন্ধ হয়ে গেছে পেশাদার গাড়িচালকদের জন্য নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন করতে চালু হওয়া বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট। ডোপ টেস্ট না হওয়ায় নতুন লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন করতে পারছেন না গাড়ি চালকরা। ফলে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাদের। বিআরটিএ ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন টেস্ট কিট ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
বিআরটিএ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামুলক করে সরকার। এ ক্ষেত্রে কুষ্টিয়া জেলায় ডোপ টেস্ট চালু হয় গত ১৫ জুন থেকে। কিন্তু দেড় মাসের মাথায় হঠাৎ করেই ডোপ টেস্ট বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে প্রায় তিন হাজার পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ঝুলে রয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের তথ্য মতে, কুষ্টিয়া বিআরটিএ থেকে বিগত আগষ্ট মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ২শত ২০ জন চালকের নতুন লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের জন্য ডোপ টেস্ট সম্পন্ন করার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়কের দপ্তরে নামের তালিকা পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৯৬৫ জনের ডোপ টেস্টের ফলাফল পাওয়া গেছে। এদের ১৫ জনের পজিটিভ আসায় লাইসেন্স প্রদান স্থগিত করা হয়েছে। এখনও ফলাফলের অপেক্ষায় আছে ২ হাজার ২৫৫ জন। এদিকে বৃহস্পতিবার (পহেলা সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত অপেক্ষমান তালিকা প্রায় তিন হাজারের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে। কবে কিট হাতে এসে পৌঁছাবে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানাতে পারছেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিআরটিএ কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আতিকুল আলম বলেন, গত জুলাই মাসের ২৪ তারিখে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল কতৃপক্ষ টেস্ট কিট ফুরিয়ে যাওয়ার তথ্য তাদেরকে জানায়। তিনি জানান প্রতিদিনই এ কিষয়ে তিনি খোঁজ নিয়ে থাকেন এবং জানতে পারেন হাসপাতালে টেস্ট কিট সরবরাহ আসেনি।
তিনি আরও জানান প্রতিদিন গড়ে ৫০-৬০ জন লাইসেন্স প্রত্যাশী চালককে ডোপটেস্টের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু টেস্ট করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ ঘটনা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
কুষ্টিয়া বাস মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি নূরুল ইসলাম জানান রাস্তাঘাটে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে কুষ্টিয়া অঞ্চলের ড্রাইভারদের। মামলার ভয়ে চালকদের অনেকেই আন্তঃজেলা ভাড়ায় যেতে চাচ্ছেন না।
তিনি জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের টেস্ট কিট শেষ হওয়ার আগেই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দরকার ছিল।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোমেন জানান, বাজেট প্রাপ্তি সাপেক্ষ টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কিট কেনা হবে। তবে কবে বাজেট হবে এবং কিট কেনা সম্ভব হবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কোনো তথ্য তিনি জানাতে পারেননি।
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান উর্ধ্বতস কর্তৃপক্ষের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
Leave a Reply