October 30, 2024, 8:03 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/আল আরাবিয়া নিউজ/
পুরোন আমলের ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির কারণে কোনো সিনেমা হল ছিল না সৌদি আরবে। বহুসংখ্যক মানুষ এক জায়গায় সমবেত হয়ে সিনেমা দেখবেন- এমন সুযোগ ছিল না। বর্তমান যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দেশের ক্রাউন প্রিন্স হওয়ার পর ২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখার সুযোগ হয় সৌদি নাগরিকদের।
অবস্থা বদলে গেছে। মানুষও পরিবর্তনে খুশী। তারা দলে দলে সিনেমা হলে যাচ্ছে। সিনেমা দেখছে। ভারতসহ সারা বিশ^ থেকে নেয়া হচ্ছে এসব সিনেমা।
দশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়জানায় সৌদি আরবে সিনেমার টিকিট বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে ২ হাজার ৬০৫ শতাংশ। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় তারা।
মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে সিনেমার টিকিট ক্রয়বাবদ সৌদি নাগরিকরা ব্যয় করেন ২০ লাখ ডলার। আর ২০২১ সালে এই ব্যয়ের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৫ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। শতকরা হিসাবে ৩ বছরে এই বৃদ্ধির হার ২ হাজার ৬০৫ শতাংশ।
সিনেমা প্রদর্শন বাণিজ্যের এই রমরমা পরিস্থিতিতে দেশটিতে প্রায় সর্বত্র গড়ে উঠছে সিনেমা হল। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটিতে সিনেমা হলের সংখ্যা ৫৪টি। এসব হল নির্মাণ করা হয় ২০২০ ও ২০২১ সালে।
সিনেমা হল নির্মাণের পাশাপাশি নিজস্ব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি গঠনেও মনযোগ দিয়েছে সৌদি আরব। বড় আকারের চলচ্চিত্র উৎসবও আয়োজন করছে দেশটি।
উদাহারণ হিসেবে বলা যায়, ২০১৯ সালে জেদ্দায় রেড সি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের আয়োজন। সেই উৎসবে বাইরের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি সৌদি আরবের চলচ্চিত্রও প্রদর্শিত হয়েছিল।
প্রথম যে সেনেমাটি প্রদর্শিত হয়, সেটির নাম ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’। রাজধানী রিয়াদের এমসি থিয়েটারে দেখানো হয়েছিল হলিউড জায়ান্ট মারভেল পিকচার্সের ওই সিনেমা।
Leave a Reply