December 22, 2024, 9:35 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
করবর্ষ ২০২১-২০২২’র প্রথম ১০ মাসে রাজস্ব আয় দুই লাখ ২৭ হাজার ৬৪১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। গত করবর্ষের একই সময়ে এই আয় ছিল এক লাখ ৯৭ হাজার ৫৮৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সে হিসাবে চলতি করবর্ষে রাজস্ব আয় বেড়েছে ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ। চলতি করবর্ষে এনবিআরের রাজস্ব আয়ের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
এই সময়কাল ছিল ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
এনবিআর সূত্র জানায়, ১০ মাসে আমদানি ও রপ্তানি শুল্ক খাত থেকে আয় হয়েছে ৭৩ হাজার ৬০ কোটি ২৬ লাখ টাকা, স্থানীয় পর্যায়ে মূসক থেকে ৮৪ হাজার ৮৯৫ কোটি ২১ লাখ এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে ৬৯ হাজার ৬৮৫কোটি ৭৭ লাখ টাকা। তবে এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আয় কিছুটা পিছিয়ে আছে। ১০ মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই লাখ ৬০ হাজার ৩১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
এনবিআর জানায়, আগের তুলনায় ব্যবসায়ী ও ব্যক্তি করদাতাদের মানসিকতায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। তারা প্রতিনিয়ত কমপ্লায়েন্ট হচ্ছেন। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের কর কর্মকর্তারা তাদের মনিটারিং ব্যবস্থা জোরদার করেছেন। এসব মিলিয়ে রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।
আমদানি-রপ্তানি শুল্ক ব্যবস্থায় কর ফাঁকি বন্ধে এনবিআর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীরা অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করায় মূসক কর দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা এখন অনেক বেশি কমপ্লায়েন্ট। আবার প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে বেশিসংখ্যক মানুষকে করজালের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের মে ও জুন মাসে রাজস্ব আয় আগের ১০ মাসের তুলনায় আরও ভালো হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন এনবিআরের এ সদস্য।
এনবিআরের তথ্যমতে, গত ২০২০-২১ করবর্ষের প্রথম ১০ মাসে আমদানি-রফতানি শুল্ক থেকে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ৬১ হাজার ১৩১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা চলতি করবর্ষের একই সময়ে বেড়ে হয়েছে ৭৩ হাজার ৬০ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে এই খাতে রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি ১৯ দশমিক ৫১ শতাংশ।
একই সময়ে আয়কর আহরণ বেড়েছে ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত করবর্ষের ১০ মাসে এ খাত থেকে রাজস্ব আয় ছিল ৫৯ হাজার ৬৭০ কোটি ২১ লাখ টাকা, এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৬৮৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকায়। শুল্ক ও আয়করের মতো মূসক রাজস্ব আয়েও উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। গত করবর্ষের ১০ মাসে মূসক রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ৭৬ হাজার ৭৮১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এবার বেড়ে হয়েছে ৮৪ হাজার ৮৯৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। এই খাতে প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
Leave a Reply