December 21, 2024, 10:23 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ভৈরব নদ খননের সময় পুরোনো জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও মানুষের হাড়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। মনে করা হচ্ছে জাহাজটি শত বছরের পুরোন। খননের জায়গাটিতে প্রায় ২শ বছর আগের একটি জাহাজ ডুবির ঘটনা স্থানীয় লোকেদের মধ্যেও প্রচলিত রয়েছে।
শুক্রবার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন ভৈরব নদ খননের সময় জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ ও মানুষের হাড়ের সন্ধান পান শ্রমিকরা।
খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও হাড় দেখতে ভীড় জমান কৌতুহলী লোকজন।
ভৈরব নদী খননের কাজ চলছে ২০১৯ সাল থেকে।
খনন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার মহব্বত হোসেন জানান ড্রেজারে কাজ সময় জাহাজের অংশ বিশেষ উঠে আসে। পরে শ্রমিকরা সেখানে নেমে আরো কিছু অংশ পায়। একই সাথে মানুষের হাড়ের অংশ বিশেষও সেখানে পাওয়া যায়।
বিষয়টি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষে জানান ঠিকাদার।
কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ হামিদুল ইসলাম জানান, ভৈরব নদ দিয়ে কার্পাসডাঙ্গা থেকে কলকাতায় বাণিজ্য করতো ব্রিটিশরা। খননের ঐ স্থনটিতেই ইংরেজদের একটি নীলকুঠি ছিল। সেই সময় প্রাকৃতির দুর্যোগ বা কোন দুর্ঘটনায় ডুবে যেতে পারে জাহাজটি।
তিনি বলেন বিষয়টি যতœসহকারে তত্বাবধান করা দরকার।
কোমরপুর গ্রামের ৯০ উর্ধ্বো মোফাজ্জেল হোসেন জানান,তিনি তার বাবার কাছে শুনেছিলেন একটি ওখানে ঝড়ে সাহেবদের একটি জাহাজ ডুবে গিয়েছিল। মোফাজ্জেলের দাদা ইংরেজদের ঐ নীলকুঠিরর কর্মচারী ছিলেন। পরে জাহাজটি আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস জানান, জাহাজটির মালামাল ২০০ বছরেরও বেশি পুরোনো বলে ধারণা করা হচ্ছে। আপাতত জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও মানুষের হাড় উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে রাখার জন্য দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে বলেছেন। তিনি সেটি করেছেন।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার বলেন, জাহাজটি বৃটিশ আমলের হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। তিনি ইতোমধ্যে প্রতœতত্ত্ব বিভাগের সাথে কথা বলেছেন। সেখান থেকে পজিটিভ রেসপন্স পেয়েছেন তিনি বলে জানিয়েছেন।
তিনি জানান উদ্ধার করা জিনিসগুলো যতœ করে রাখতে বলা হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে।
Leave a Reply