দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অপরাধে এক মাদ্রাসার পরিচালককে জেলে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে চুয়াডাঙার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট জোহরা খাতুন এই জেলে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে দর্শনার মাসুমা জান্নাত মহিলা মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মাদ্রাসার ঐ পরিচালকের নাম গোলাম কিবরিয়া। তার বয়স ৫৫ বছর।
একই দিন দুপুর ১টার দিকে নির্যাতনের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা দর্শনা থানায় একটি মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গোলাম কিবরিয়া দর্শনার দক্ষিণচাঁদপুর গ্রামের নান্নু মুহুরির বাড়িতে স্ব পরিবারে ভাড়ায় থাকেন। তার স্ত্রী, মেয়ে ও জামাই একই মাদ্রাসার শিক্ষক।
গত ২৪ মার্চ সকালে গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী, মেয়ে ও জামাই মাদ্রাসায় ছিলেন। বাড়ি একা ছিলেন তিনি। ওই দিন বেলা ১১ টার দিকে এক বোতল পানি নিয়ে মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে তিনি বাসায় ডাকেন তিনি। ছাত্রীটি সেখনে পানি নিয়ে গেলে ওই ছাত্রীকে ঘরের দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন গোলাম কিবরিয়া।
ঘটনাটি কাউকে না বলতে হুমকিও দেন তিনি।
গত ৫ এপ্রিল বাচ্চাটি অসুস্থবোধ করে। বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে সে তার এক সহপাঠীকে যৌনাঙ্গে ব্যাথার কথা জানায়। মেয়েটি ঐ সহপাঠীর সাথে তার নিজ বাড়িতে আসে। ঐ সহপাঠী মেয়েটির পরিবারকে ঘটনাটি জানায়।
নির্যাতনের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা জানান, ঘটনাটি জানার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি মাদ্রাসায় যান। কিন্তু তাকে দেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মাদ্রাসার পরিচালক গোলাম কিবরিয়া। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নেয়।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর জানান, প্রাথমিক জ্ঞিাসাবাদে গোলাম কিবরিয়া ঐ মেয়েটির বিশেষ জায়গায় হাত দেয়ার কথা স্বীকার করেন। ধর্ষনের বিষয়টি অস্বীকার করে।
ওসি জানান আদালতের নির্দেশ মতো মেয়েটির মেডিকেল টেস্ট হবে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি