দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রমে অংশ নেবে না কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষকরা। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ধরনের সিদ্ধান্তের কথা জানায় ইবি শিক্ষক সমিতি।
সমিতি বলছে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষ গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে শিক্ষকরা ভর্তি কার্যক্রমে অংশ নেবে না।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা চালু করা হয়েছিল তা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। পরীক্ষা শেষে ভর্তির সময় নানাভাবে প্রতি পদেপদে শিক্ষার্থীদের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
দাবি করা হয় পছন্দমত বিষয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাদেরকে অবিভাবকসহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়েছে। এরপর প্রথম ভর্তিকৃত বিশ্ববিদ্যালয় কোন টাকা ফেরত দেয়নি। ্এতে ভর্তি একটি মানষিক চাপের পাশাপাশি সময় এবং অর্থের অপচয় হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে ড. জাহাঙ্গীর বলেন, গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রিতা একটি মারাত্মক সমস্যা। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও ভর্তির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি দাবি করেন ইবিতে বিশেষায়িত একটি ইউনিট নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নেয় যা সামগ্রিক ভর্তি প্রক্রিয়ার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
ইবি শিক্ষক সমিতি তাই পৃথক পৃথক ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মিজানূর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, সদস্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গুচ্ছে থাকার পক্ষে ১৯ ভিসি, সময় চেয়েছে জবি
১৯ ভিসি গুচ্ছের পক্ষে/
ওদিকে গত ১৮ শুক্রবার গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয় সেখানে ১৯ বিশ্ববিদ্যালয় বিগত বছরের ন্যায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকার পক্ষে মত দেন যার মধ্যে ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় ছিল।
ঐ সভায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে সময় চেয়ে নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।
সভা সূত্রে জানা যায়, গুচ্ছে নাকি আলাদা ভর্তি পরীক্ষা- তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ১৯ জন উপাচার্য গুচ্ছের পক্ষে রয়েছেন। জবি উপাচার্য সিদ্ধান্ত জানাতে সময় চেয়েছেন।
এ বিষয়ে গুচ্ছের টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, জবি উপাচার্য ছাড়া বাকি ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় থাকার পক্ষে মত দেন।
তবে এ বিষয়ে আরও আলোচনার জন্যে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি