দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে সংগঠন খুলে গণধীকৃত, আন্দোলনের মুখে আস্তকুঁড়ে নিপতিত চিন্থিত ও স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ চক্র ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠে আসার চেষ্ট করছে। এজন্য তারা হীন উপায় অবলম্বন করছে। এটা একদিকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নবপর্যায়ের এই আধুনিক বাংলাদেশে অর্জিত উন্নয়নের গতিধারা ও অর্জনসমূহকে নস্যাৎ ও প্রশ্নবিদ্ধ করার অশুভ উদ্দেশ্যে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ বিনষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাস পরিমÐলে এই অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধালোভী চক্র যে অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে তা অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নীতি-আদর্শের সাথে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিপš’ী, তেমনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিরোধী ; জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আর্দশ ও চেতনা বিরোধী।
আজ (শনিবার) ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এম দাবি করেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেন বঙ্গবন্ধু’র নাম ভাঙ্গিয়ে সংগঠন খুলে যে কোন অপকর্ম করার পাঁয়তারা রুখে দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মোলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে এমন কথা বলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট নামের একটা কুচক্রিমহল বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙ্গিয়ে নানা অপকর্ম শুরু করেছে। যা খুবই দুঃখজনক। একসাথে কাজ করার জন্য আমরা তাদের সাথে একাধিকবার কথা বলে ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আলোচনায় বসার কথা জানিয়েছি। কিন্তু তারা বসেন নি। বরং কেন্দ্রের বাহিরে গিয়ে নতুন সংগঠনের রুপ দিয়েছে। সেই সাথে নানা কুকর্ম করে যাচ্ছে। তাদের সকল অপকর্মের বিষয় আমরা কেন্দ্রকে জানিয়েছি। কেন্দ্র থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু পরিষদই বৈধ কমিটি ও তারাই ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালাবে বলে জানানো হয়েছে। আমরা এই কুচক্রীমহলকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করবো।
এসময় পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড জাহাঙ্গীর হোসেন, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড মাহবুবুল আরফিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড শাহজাহান মন্ডলসহ পরিষদে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মোলনে লিখিত বক্তব্যটি পাঠকদের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো/
সুপ্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ/
সালাম ও শুভে”ছা নিবেন। আপনারা নিশ্চয়ই অবগত রয়েছেন যে, কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ অনুমোদিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের বর্তমান কমিটি আজন্ম বাঙালী, বাংলাদেশ, মহান মুক্তিযুদ্ধ,অসাম্প্রদায়িক মনোভাব ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের মহান ¯’পতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে, তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে এবং একই সাথে এই বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষার উন্নয়ন ও সুষ্ঠু পরিবেশ সমুন্নত রাখতে নিরলস সংগ্রাম ও অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে। আমাদের এ সংগ্রামের প্রতিটি মুহুর্তে আমাদের শক্তি ও অনুপ্রেরণা হলেন জাতির পিতারই সুযোগ্য কন্যা ; বঙ্গবন্ধুর পর যিনিই বাঙালির সকল স্বপ্ন জয়ের সারথী ; বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষার একান্ত বিশ্বস্ত ঠিকানা, গনতন্ত্রের সেই মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ /
অংশগ্রহনমুলক সক্রিয় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটি দূর্নীতিবাজ, প্রতিহিংসাপরায়ন ও অযোগ্য প্রশাসনের মুলোৎপাটনের পর সবার যখন প্রত্যাশা ক্যাম্পাসে নির্মল একটি সুন্দর, সু¯’ পরিবেশ ; ঠিক সেই সময়টিতেই আমরা লক্ষ্য করছি ঐ চক্রেরই প্রশাসনেরই কতিপয় বশংবদ, সুযোগসন্ধানী, সুবিধালোভী ব্যক্তি ও তাদেরই একদল উপজাত এক গভীর দূরভিসন্ধি ও অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী তথা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে তাদেরকে আদর্শচ্যূত করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে বিশ^বিদ্যালয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে হট্টগোল, গালাগালি ও বিশৃংখল পরিবেশ তৈরি করে মহান স্বাধীনতার মহিমাকে ভূলুন্ঠিত করে। এটা তারা এর আগেও মুক্ত বাংলা পাদদেশে ঘটিয়েছিল। এহেন অপকর্ম করতে তারা অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে ও সুচতরতার সাথে ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’-শব্দ ব্যবহার করে একটি সংগঠন গড়ে তুলেছে। যাদের সাথে জড়ো হয়েছে আদর্শচ্যুত, স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ, সর্বমহলে ধীকৃত, অনুপ্রবেশকারী, মধ্যস্বত্বভোগী একদল ব্যক্তি।
সুপ্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ/
এই পেশাতে আপনারা এই ক্যাম্পাসে অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করে চলেছেন সবই আপনারা অবগত যে কোন একটি সংগঠন-সং¯’া-কাঠামো গড়ে তুলতে ন্যূনতম কিছু নিয়ম, রীতিনীতি, শৃঙ্খলা মেনে চলতে হয়। বঙ্গবন্ধু পরিষদ নামে কেন্দ্রীয়ভাবে সংগঠিত একটি সংগঠন রয়েছে ; একই সাথে যার রয়েছে দেশজুড়ে বিভিন্ন জেলা ও উ”চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠাসমুহে স্বতন্ত্র শাখা এবং এর সঙ্গে জড়িত ও সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন আওয়ামী আদর্শ ধারন করেন সমাজের এমন হাজারো বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ। আর এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এদেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত পরিচিত প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৯৯৬-২০০১ সময়ের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও সাবেক সংদ সদস্য ডাঃ এস এ মালেক। তাঁর হাত দিয়েই বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের বর্তমান এ কমিটি। তাঁর কতৃক অনুমোদিত ও নির্দেশিত হয়ে আমরা কাজ করে চলেছি। কিš‘ দুঃখজনক হলেও সত্য যে ডা. এসএ মালেকের মতো মানুষকে প্রকারান্তরে চরম অপমান করে তারই অনুমোদিত সর্বজন গ্রহনযোগ্য একটি কমিটির বিরুদ্ধে এই বিশ^বিদ্যালয়ে একটি তথাকথিত কমিটি ঘোষণা দিয়ে ঐ চক্রটি অপকর্মের উলংগ উল্লাস নৃত্য করে চলেছে। যা নজীরবিহীন।
সুপ্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ/
বিষয়টি শ্রদ্ধেয় ডা. এসএ মালেকও অবগত। বিষয়টি সম্যক অবহিত হয়ে তিনি বিব্রতবোধ করেন ও মর্মাহত হন। পরবর্তীতে বৃহত্তর স্বার্থে বিষয়টি পরিস্কার করতে তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে গত ২৭/০২/২০২০ ইং তারিখে কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে এই স্বার্থানে¦ষী চক্রকে তাদের সকল তৎপরতা বন্ধের নির্দেশ দিয়ে সতর্ক করেন। বঙ্গবন্ধু পরিষদ নাম ব্যবহার করে অন্য কোন সংগঠন গড়ে তুলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপপ্রয়াস থেকে দুরে সড়ে যেতে আহবান জানান। কিš‘ তারা তা প্রতিপালন দুরে থাক কর্ণপাতই করেনি। একই অব্যাহতভাবে তারা তাদের অভ্যাসগত অপকর্ম সাধন করে চলেছে।
এমতব¯’ায় বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সভাপতি ডা. এস. এ মালেক গত ২৭/০৩/২০২২ ইং তারিখে একটি প্রেস বিবৃতি প্রেরণ করেন যেখানে কেন্দ্র ঘোষিত বর্তমান কমিটিই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের একমাত্র বৈধ কমিটি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। (বিবৃতি সংযুক্ত)
সুপ্রিয় জাতির বিবেকগণ/
আমরা মনে করি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নবপর্যায়ের এই আধুনিক বাংলাদেশে অর্জিত উন্নয়নের গতিধারা ও অর্জনসমূহকে নস্যাৎ ও প্রশ্নবিদ্ধ করার অশুভ উদ্দেশ্যে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ বিনষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাস পরিমÐলে এই অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধালোভী চক্র যে অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে তা একদিকে যেমন বঙ্গবন্ধু পরিষদের নীতি-আদর্শের সাথে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিপš’ী, তেমনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিরোধী ; জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আর্দশ ও চেতনা বিরোধী।
তাদের সকল চক্রান্ত রুখে দিতে আমরা ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় শাখা বঙ্গবন্ধু পরিষদ গত ০৫/০৩/২০২২ ইং তারিখে একটি সংবাদ সম্মেলন করে অশুভ চক্রটি সম্পর্কে সকলকে সতর্ক থাকার আহŸান জানিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ^াসী ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে পত্র মারফত বিশেষভাবে এই চক্রটির ব্যাপারে সতর্ক করেছিলাম। যা আপনাদের সহায়তায় বিভিন্ন জাতীয়, ¯’ানীয় এবং অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়।
জাতির পিতার নামে নামাঙ্কিত বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় শাখা আবারো এ সকল চক্রের অশুভ ফাঁদে না জড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে উদাত্ত আহŸান জানা”েছ। পাশাপাশি অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধাসন্ধানী এ কুচক্রি মহলকে সকল অশুভ তৎপরতা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করছে। সেই সাথে বিশ^বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীগণকে এ চক্রের সকল অপতৎপরতার ব্যাপারে সচেতন থেকে শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অংশীদার হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে সক্রিয় হতে এবং ক্যাম্পাসে আরো উন্নত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়ার আহŸান জানা”েছ।
বন্ধগণ/
আমরা বারবার নিশ্চিত হয়েছি, আশ^স্ত হয়েছি যে কেন্দ্র আমাদের সাথে রয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমাদের উপর আ¯’া রাখবার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। আমরা মনে করি এখন আমাদের সকলের একান্ত কর্তব্য এইসব কুচক্রি ও অপকর্মকারী জঞ্জালদের সঙ্গ পরিহার করা এবং ঐক্যবদ্ধ থেকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শ সমুন্নত রাখা।
একই সাথে আমরা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি যে, আগামী দিনগুলোতে আপনাদেরকে সাথে নিয়ে এ্ বিশ^বিদ্যালয়ে সক্রিয় সকল স্বার্থান্বেষী মহলের অপতৎপরতা ও সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে পারব, ইনশাল্লাহ।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি