দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
আবারো স্থানীয় লোকজনদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এ সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাত ১০টার দিকে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর এ ধরনের একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায় দুজন আহত শিক্ষার্থীর নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের তানভীর এবং আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের কাব্য।
জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার গাড়াগঞ্জ এলাকা থেকে বাসে উঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী। বাসে জিনিসপত্র রাখা নিয়ে হেলপারের সঙ্গে তাদের বচসা হয়।
এর মধ্যে বাসে থাকা শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনে বিষয়টি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে দিলে বেশ কিছু শিক্ষার্থী স্থানীয় শেখপাড়া বাজারে হাজির হন। বাসটি শেখপাড়া পৌঁছালে আটকে দেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা ড্রাইবার ও হেলপারের উপর চড়াও হলে বাজারের একটি দোকানে আশ্রয় নেন হেলপার। হেলপারকে দোকান থেকে বের করতে গেলে ঐ দোকানীসহ আশেপাশের দোকানদারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় শিক্ষার্থীদের।
এক পর্যায়ে ওই দোকানদারের সাথে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি হয়। এটি এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রুপ নেয়। এ ঘটনায় আটকে যায় কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল।
আলী ইকরাম নামের এক দোকানী যিনি ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন জানান যে হেলপারটিকে তাড়া করেছিল শিক্ষার্থীরা। জীবন বাঁচাতে হেলপার আশ্রয় নিয়ে বসে এক দোকানে। ঐ দোকানী শিক্সার্থীদের নিবৃত করার চেষ্টা করে। এতে ক্ষেপে যায় শিক্ষার্থীরা। ইকরাম জানান এরপর আশেপাশের দোকানীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়ে।
বাসে থাকা গোলযোগের শিকার ৪ শিক্ষার্থীর একজন জানান বাসের হেরপারের আচরণ এতই খারাপ ছিল যে সহ্য করা মুশকিল ছিল। তিনি জানান তারা বারবার হেলপারকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন গাড়াগঞ্জ থেকে সামনেই শেখপাড়াতে তারা নেমে যাবেন। ব্যাগগুলো নিচে রাখলে ক্ষতি কি। কিন্তু হেলপার মারমুখি িআচরণ করে।
ইবি থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি এতই তুচ্ছ ছিল যে এসব ঘটনায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া দুঃখজনক। তিনি জানান যানজটে আটকে পড়া গাড়িগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পুলিশের সহায়তা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি