December 22, 2024, 10:11 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হয়ে অপমানে আত্মহননের চেষ্টা করেছে এক গৃহবধু। তিনি বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ সময় ঐ নারীর শাশুরিও পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তবপুর গ্রামে। পুলিশের লাঞ্ছনার শিকার যারা হয়েছেন তার হলেন পুরাতন বাস্তবপুর গ্রামের শওকত আলীর স্ত্রী সোহানা বেগম (৩৬) ও তার পুত্রবধূ মেহরিমা ইসলাম স্নেহা (১৬)।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেহরিমা ইসলাম স্নেহা সাংবাদিকদের জানান গত বছরের ৪ জুলাই পুরাতন বাস্তবপুর গ্রামের শওকত আলীর ছেলে জিহাদ আলীর (২২) সঙ্গে ঢাকার আদাবর এলাকার একটি কাজি অফিসে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তার মা উপ¯ি’ত ছিলেন। বিয়ের পর থেকে ¯েœহা শ্বশুরবাড়িতে থাকেন।
কয়েক দিন আগে তাকে আটকে রাখা হয়েছে এমন অভিযোগে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন ¯েœহার নানি দামুড়হুদা উপজেলার কোষাঘাটা গ্রামের মুনিজান খাতুন।
স্নেহা জানান মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে তিনি তার শাশুড়ি সোহানা বেগমের সাথে ঘরে টেলিভিশন দেখছিলেন। এ সময় দামুড়হুদা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজিব আহমেদ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ইখলাস উদ্দিন দুইজন নারী পুলিশ সদস্যসহ সেখানে হাজির হন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক নারী ও এক পুর“ষ পুলিশ সদস্য তার শাশুড়ি সোহানা বেগমের চুলের মুঠি ধরে মারধর করে মাটিতে ফেলে দেয় এবং তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি রাজি হননা। ফলে তাকেও চড়-থাপ্পড় মারা হয়। শরীরের পেছন দিকে লাথি মারা হয়।
এরপর লোকজনের এসে উপস্থিত হলে পুলিশ সদস্যরা ঘর থেকে বেড়িয়ে বাইরে অব¯’ান নেন। এসময় স্নেহা ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান।
ঘটনা বুঝতে পেরে প্রতিবেশী ও ওই পুলিশ সদস্যরা দরজা ভেঙে স্নেহাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করেন।
জিহাদ আলী বলেন, আমার স্ত্রী তার নানী বাড়িতে বড় হয়েছে। এই বিয়েতে ঐ নানীর অমত থাকায় তিনি এ কাজ করেছেন। বিয়ের পর আমার বাড়িতে সংসার করছে।
তিনি বলেন অভিযোগ যতই থাকুক, পুলিশ আমার মা ও স্ত্রীকে মারধর কেন করলো? তারা বললে আমরা থানায় যেতাম।
চিকিৎসক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান স্নেহা শঙ্কামুক্ত কিনা এখনই বলা যা”েছ না। তাকে অক্সিজেন দিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান অভিযোগ ছিল স্নেহা নাবালিকা। এ অবস্থাতে তার বিয়ে হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ নাবালিকা ওই মেয়েকে উদ্ধার করতে গিয়েছিলো। এ সময় ওই বাড়ির লোকজন উদ্ধারকাজে বাধা সৃষ্টি করে। তবে তিনি মারামারির কোনো বিষয় অস্বীকার করেন।
চুয়াডাঙার সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) মুন্না বিশ্বাস বলেন, ঘটনার সময় এক নারী কনস্টেবল তাদের মারধর করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছি। তদন্ত চলছে বিষয়টি।
Leave a Reply