দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
ইউক্রেনে সেনা পাঠাচেরছনা এমনটা ফের পরিষ্কার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার ভাষায় ‘আমরা ইউক্রেনে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করতে চাই না।
ফিলাডেলফিয়ায় হাউস ডেমোক্রেটিক ককাস ইসু সম্মেলনে বাইডেন আরও বলেন, রাশিয়ার বাহিনীর মোকাবিলায় ইউক্রেন যেন অস্ত্র পায় সেটা নিশ্চিত করবো আমরা। ইউক্রেনীয়দের জীবন বাঁচাতে খাবার ও অর্থ সাহায্য পাঠানোর কথাও বলেন তিনি।
এ সময় ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন দেওয়ার জন্য হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভদের ধন্যবাদ জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ সময় তিনি বলেন, ‘আজও (১১ মার্চ) আমি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে ঘণ্টাখানেক কথা বলেছি। তার সঙ্গে আমার প্রায় প্রতিদিনই কথা হচ্ছে।’
এদিকে কিয়েভ ঘিরে লড়াই আসন্ন মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রুশ বাহিনী ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে আরও অগ্রসর হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় তারা কিয়েভ অভিমুখে ৩ মাইল এগিয়েছে।
স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, রুশ বাহিনী ধীরে ধীরে কিয়েভের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তারা কিয়েভের আশপাশের এলাকায় নিজেদের অবস্থান জোরদার করছে।
রাশিয়ার অনুরোধে আজ জরুরি বৈঠকে বসছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ইউক্রেনে জীবাণু অস্ত্র তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্র অর্থায়ন করছে বলে রাশিয়া যে অভিযোগ তুলেছে, তা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে আলোচনা হবে। রাশিয়ার অভিযোগ নাকচ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন। দেশ দুটির দাবি, রাশিয়া ইউক্রেনে রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্র ব্যবহারের অজুহাত খুঁজছে।
কিয়েভের চারপাশে রুশ সেনাদের অবস্থান, সংঘর্ষ চলছে/
রুশ সেনাদের বিশাল বহর কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে কিয়েভকে প্রায় ঘিরে রেখেছে। পাশাপাশি হামলাও চালাচ্ছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইট কোম্পানি ম্যাক্সার টেকনোলজিসের চিত্রে দেখা গেছে কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমে বেশ কয়েকটি জায়গায় আগুনের ছবি। ইউক্রেনের হোস্টোমেলের আন্তোনোভ বিমানবন্দরে আগুনের চিত্র দেখা গেছে।
আরেকটি স্যাটেলাইট চিত্রে ম্যাক্সার জানিয়েছে, আমরা কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমে মোসচুনে বাড়িঘর জ্বলতে দেখেছি। স্যাটেলাইট কোম্পানিটির দাবি, ছবিতে রাজধানীর উত্তর-পশ্চিমে শহর জুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়গুলোও দেখা সম্ভব।
সাঁজোয়া যান, ট্যাংক ও কামান নিয়ে কিয়েভের পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে রুশ সেনাদের দেখা গেছে। কিয়েভের উত্তরে রুবিয়াঙ্কা শহরের কাছে রুশ সেনাদের দেখা গেছে। উত্তর–পূর্ব দিক থেকে রুশ সেনাদের একটি বহর রাজধানীর দিকে এগিয়ে আসতে দেখা গেছে।
আজ শনিবার সিএনএন, বিবিসি ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
রাজধানী এবং তার পশ্চিমে জাইটোমিরে বিমান হামলার সাইরেন বাজতে শোনা গেছে। বাসিন্দাদের বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে সতর্ক করা হয়েছে। কিয়েভে সাংবাদিকরা ভারী গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন।
সিএনএন বলছে, কিয়েভের আশেপাশে প্রচণ্ড গোলাগুলি ও বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
ইউক্রেনের রাজধানীর আশেপাশে লড়াই অব্যাহত আছে। শহরের প্রশাসন বলেছে বুচা, ইরপিন এবং হোস্টোমেলের পাশাপাশি কিয়েভের আরও উত্তরে ভিশোরোদ জেলাসহ উত্তরের অঞ্চলগুলো সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। শহরের পূর্বে, ডিনিপার নদীর ওপারে ব্রোভারিতেও লড়াই চলছে।
মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ সেনারা কিয়েভকে চার দিক থেকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছেন।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক কোম্পানি এনারগোটমের প্রধান পেট্রো কোটিন বলেছেন, রুশ সেনারা জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রবেশ করে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
তিনি জানান, রুশ বাহিনী প্ল্যান্টের ইউক্রেনীয় কর্মীদের বলেছে, এটি এখন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটমের অধীনে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি