দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
দেশকে ২০৪১ সালের ডেভেলপমেন্ট অভিষ্টে পৌঁছাতে হলে সকল স্তরেই উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে। উৎপাদনে আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। খাদ্য-বস্ত্রসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী আমাদেরই উৎপাদন করতে হবে। উৎপাদন ও উৎপাদনের উপকরণের অনুপাতকে উদ্যোক্তাদের কাছে সঠিকভাবে বন্টন করতে হবে।
আজ (বৃহস্পতিবার) কুষ্টিয়াতে “উন্নত বাংলাদেশ বির্নিমাণে উৎপাদনশীলতার গুরুত্ব” বিষয়ক এক সেমিনারে বক্তরা এ কথা বলেছেন।
তারা মনে করেন বাংলাদেশের জাতীয় উৎপাদনশীলতা বেড়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের শিল্প, কৃষি ও সেবাসহ বিভিন্ন খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোই এখন জরুরী কাজ। সার্বিক উন্নয়নের জন্য উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই।
ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাজেশন (এনপিও) শিল্প মন্ত্রনালয় ও জাতিয় ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প বাংলাদেশ (নাসিব) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
অনুশ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জুমে প্লাটফরমে অংশ নেন এনপিওর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মুহম্মদ মেজবাহুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাসিব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, সিআইপি মির্জা নুরুল গণি শোভন। সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনপিও’র উর্ধ্বতন গবেষণা কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাসিবের কুষ্টিয়া জেলা শাখার সহ-সভাপতি, এফবিসিসিআইয়ের জেনারেল বডি মেম্বার সামসুল ওয়াসে। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন নাসিবের কুষ্টিয়া জেলা শাখার সহ-সভাপতি নিলুফার আক্তার নাসরিন।
সেমিনারে বলা হয় দেশে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সরকারের ১০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা রয়েছে। এর আওতায় প্রতি বছর গড়ে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হারে উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। বক্তারা বলেন এটাকে টেকসই করতে হবে। যাতে উৎপাদনের অব্যাহত হারে রোধ না ঘটে। এটা হলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ফলে সরকারের আয় বাড়বে, শিল্পায়ন ত্বরান্বিত হবে। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন সহজ হবে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি