দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলামের দুর্নীতির দায়ে তিন বছর বেতন বাড়বে না। এ ব্যবস্থা নিয়েছে দুর্যোগ ও ত্রাণ পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম ২০১৭-১৮ সালের টিআর কর্মসূচির আওতায় তিনটি অস্তিত্ববিহীন প্রকল্পের বিল ভাউচার সৃজন করে কমিটির যোগসাজশে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬০৮ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ উঠে। পরে এ বিষয়ে দুদকের তদন্তে সত্যতা মেলায় তিনি সেই টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে দেন। এরপর তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৩ (খ) ও (গ) ধারায় বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়।
বিভাগীয় তদন্ত কমিটির কাছে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মাহমুদুল ইসলাম নিজেও স্বীকার করেন যে তিনি প্রকল্প পরিদর্শন না করেই বিল ভাউচার করেছেন।
তাই তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ৩ (খ) মতে অসদাচরণের দায়ে ও একই বিধিমালা ৪ (২) এর খ মতে বার্ষিক বর্ধিত বেতন তিন বছরের জন্য কর্তন করার আদেশ দেওয়া হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আমিনুল হক স্বাক্ষরিত গত ৪ জানুয়ারি লিখিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পিআইও মাহমুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহামুদুল ইসলাম বলেন, এটা ভুল ভুলবশত হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প হয়ে আসে। এর মধ্যে দুটি প্রকল্প ছিল ডবল। এটা না দেখার কারণে এমনটি হয়েছে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি