দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
করোনা শেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হয়েছে প্রায় ২ মাস হয়ে গেল। কিন্তু অদ্যাবধি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটোরিয়া বন্ধ রয়েছে। এর ফলে সীমাহিন বিপাকে পড়েছে শত শত শিক্ষার্থী। তাদেরকে একদিকে বাইরের দোকান ও হোটেল থেকে নিম্নমানের খাবার কিনতে হচ্ছে অন্যদিকে গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়াটি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে অবস্থিত। এখানে একজন পরিচালকও নিয়োগ প্রাপ্ত রয়েছেন। কিন্তু অভিযাগ রয়েছে তিনিও ঠিকমতো দেখভাল করেন না এ অফিসটি। এখানে বেশক’জন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাও রয়েছেন। তবে জানা গেছে, তাদের মধ্যে একজন কর্মকর্তা ঠিকমতো অফিস করেন না।
মঙ্গলবার টিএসসিসিতে গিয়ে দেখা যায় সেখানে বেসিন, চেয়ার, বেঞ্চগুলো পড়ে রয়েছে অপরিচ্ছন্ন ও এলোমেলোভাবে। যেখানে শিক্ষার্থীদের খোশগল্প, গান এবং আড্ডায় প্রাণবন্ত থাকার কথা সেখানে ময়লা আবর্জনার স্তুপ ক্যাম্পাসের সংস্কৃতি চর্চার প্রাণকেন্দ্র টিএসসিসিতে।
কিছু শিক্ষার্থী জানান, সাধারণত ক্যাম্পাসে অবস্থিত হোটেলের থেকে কম মূল্যে ও ভালো মানের খাবারের জন্য শিক্ষার্থীরা ক্যাফেটেরিয়ায় আসেন। কিন্তু এটি বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়েই তাদের বাইরের দোকান থেকে বেশি দামে খাবার কিনতে হচ্ছে।
জানতে চাওয়া হলে টিএসসিসির উপ-রেজিস্টার সুদেব কুমার বিশ্বাস (দেবু) বলেন, ‘টিএসসিসির ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজের জন্য শব্দ, ধুলাবালি ইত্যাদির কারনে ক্যাফেটেরিয়া খুলতে পারা যাচ্ছে না।
তিনি জানান জানুয়ারিতে ক্যাফেটেরিয়া চালুর ব্যাপারে কথা চলছে।
অবশ্য সেখানে গিয়ে টিএসসিসির পরিচালক রুহুল কুদ্দস সালেহকে পাওয়া যায়নি। অফিসের কেউ বলতে পারেন নি তিনি কবে আসবেন। তবে একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান তিনি মাঝে মধ্যে আসেন।
উপ-রেজিস্টার সুদেব কুমার বিশ্বাস (দেবু) জানান টিএসএসসিকে প্রাণবন্ত করতে ইতোমধ্যে তিনি একটি রুম পরিস্কার-পরিচ্ছন করে দিয়েছেন। সেখানে নিয়মিত সাংস্বৃতিক কর্মকান্ড চলছে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি