December 22, 2024, 9:59 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
রায় শুনতে আদালতে যেতে চাননি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন। তিনি রায়ের জন্য অপেক্ষা করে আছেন তার কুষ্টিয়ার বাসাতে। তার ছোট সন্তান আবরার ফাইয়াজ ও আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ রয়েছেন ঢাকাতে।
রোববার সকালে রোকেয়া এ প্রতিনিধিকে বলেন আমি কষ্ট ভুলতে যেতে পারছি না। যারা আমার সন্তানকে ৬ ঘন্টা ধরে পিটিয়ে হত্যা করেছিল তাদেরকে দেখতে তিনি আদালতে যেতে চাননা। তিনি শেষ বিচারের দিন (মৃত্যুর পর) তাদের মুখোমুখি হবেন।
দুই বছর দুই মাস পর ঢাকার দ্রত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ রোববার।
তিনি জানান তাকে তার স্বামী ও সন্তান নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিš‘ যাননি। কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডের বাসাতে তিনি আছেন। সকাল থেকেই তার আত্মীয় স্বজনেরা বাসায় আসতে শুরু করেছেন।
রোকেয়া খাতুন বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুন খারাবির জায়গা নয়। ওদের সর্বো”চ শাস্তি না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এভাবে অসংখ্য মায়ের বুক খালি হতে থাকবে।
“ওরা ছিল বিশ^বিদ্যালয়ে ওর বড় ভাই। যদি দুটো চড়-থাপ্পর দিত, যদি একটা হাত ভেঙেও আমার কাছে পাঠিযে দিত। তবু আমার সান্তনা ছিল। কিš‘ একেবারে মেরে ফেলতে হবে ? জানতে চান রোকেয়া “রাজনীতিকে কি এত নির্মম-নির্দয় হতেই হবে ?”
ঢাকায় যোগাযোগ করা হলে আবরারের ছোটভাই ফাইয়াজ বলেন তাদের সঙ্গে পরিবারের আরও অনেকেই ঢাকায় আছেন। তার পরিবার সব আসামির সর্বো”চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড প্রত্যাশা করে বলে জানান তিনি।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ওইদিন রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।
ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন ও তদন্তে প্রাপ্ত আরও ছয়জন রয়েছেন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটজন।
Leave a Reply