দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
চুয়াডাঙ্গা শহরের বুদ্ধিমান পাড়া থেকে বুধবার সন্ধ্যায় আটক হয়েছেন ৬০ বছর বয়সী শিপ্রা বেগম। গ্রেফতার শিপ্রা চুয়াডাঙ্গার বুজরুকগড়গড়ি গ্রামের মৃত বাবুল উদ্দিনের স্ত্রী। তার নামে জেলার বিভিন্ন থানায় ৫১ মামলা রয়েছে। মামলার সবগুলোয় মাদকের। ওদিকে তার একমাত্র সন্তান একটি মাদক মামলায় ৩২ বছরের সাজা খাটছেন। এখানেই শেষ নয় তার স্বামীও ছিলেন মাদক ব্যবসায়ী ২০১৫ সালে মারা যাওয়ার সময় তার নামে ছিল ১৪টি মাদক মামলা।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীনের ভাষ্যমতে শিপ্রার সারা জীবনই কেটেছে মাদক ব্যবসা নিয়ে।
ওসি জানান শিপ্রার স্বামী বাবুল মিয়া ছিলেন সীমান্ত চোরাকারবারী। বাবুলের সাথে তার বিয়ে হয় ১৯৮২ সালে। এক সন্তান আসে তাদের সংসারে। ১৯৯১ সালের দিকে স্বামীর সাথ ধরেই শিপ্রা নেমে পড়েন মাদকের জগতে। সীমান্তের ওপাড় থেকে স্বামীর এনে দেয়া মাদক বিক্রির মাধ্যমে তার এ জগতে নেমে পড়া। সে বছরেই তিনি শিকার হন প্রথম মামলার। সেই থেকে শুরু।
একের পর এক জড়িয়ে যান মাদকের মামলায়। পুলিশ যতটুকু তথ্য দিতে পেরেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে এই পুরো সময়ের মধ্যে শিপ্রা গ্রেফতার হয়েছেন মোট ২৮ বার। জেলে থেকেছেন বিভিন্ন মেয়াদে প্রায় ১০ বছর। মোট মামলা ৫১টি।
শিপ্রার বক্তব্য নিয়ে ওসি জানান ২০০০ সালের দিকে জেল থেকে বেড়িয়ে তিনি জানতে পারেন তার সন্তান আলী হোসেনও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। সেই জড়িয়ে পড়া থেকে সে আর বের হতে পারেনি। তার বিরুদ্ধে ছিল মাদকের পাঁচ মামলা। ২০১৪ সালে একটি মাদক মামলায় ৩২ বছরের জেল হয় আলী হোসেনের। সে বর্তমানে চুয়াডাঙা জেলে সেই সাজা খাটছেন।
এর মধ্যে শিপ্রার স্বামী বাবুল সমগ্র জীনের প্রায় ১৪/১৫ জেল খেটে ১১ মামলা মাথায় নিয়ে মারা যান ২০১৫ সালে।
শিপ্রা পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি বহুবার চেষ্টা করেছিলেন এ ব্যবসা ছেড়ে দিতে। কিন্তু পারেন নি। একদিকে মামলা অন্যদিকে বিশ^স্ততার অভাবের কারনে তাকে কেউ কোন কাজ দেয়নি।
ওসি জানান আজ (বৃহস্পতিবার) আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি