দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
পাওয়ান অর্থ পরিশোধ না করায় বিষ মেশানো কোমল পানীয় খাইয়ে আজহারুল ইসলাম (১২) নামে মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে চুয়াডাঙ্গার এক রেস্টুরেন্ট মালিকের বিরুদ্ধে। ঘটনার সময় তাকে বেধড়ক মারধরও করা হয়।
শিশুটি এখন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তার পাকস্থলী থেকে বিষ অপসারন করা হয়েছে।
রোববার রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের উকটো গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশু আজহারুল উকটো গ্রামের মাদরাসা পাড়ার শফি উদ্দিনের ছেলে । সে স্থানীয় মাদরাসার হাফেজ বিভাগের ছাত্র
শিশুটির বাবা শফি উদ্দিন জানান আজহারুল গ্রামের মাদরাসায় পড়াশোনা করে। মাদ্রারসার হোস্টেলে থাকার কারনে সে একই গ্রামের আনিছুর রহমানের খাবার হোটেলে বিভিন্ন সময় বাকিতে খাবার খায়। মাস শেষে সে নিজে গিয়ে বকেয়া পরিশোধ করে আসছিল। ইদানিং আনিছুরের হোটেলের খাবাররের মান খারাপ হবার কারেন রোববার রাতে আজহারুল অন্য একটি হোটেলে খাবার খেতে যায়। বিষয়টি দেখে আজহারুলকে তার হোটেলে ডেকে নেয় আনিছুর।
হোটেলে আটকে বকেয়া টাকা দাবি করে আনিছুর।
তৎক্ষণাৎ টাকা না দেয়ায় তাকে বেধড়ক মারধর করে আনিছুর। পরে আজহারুলকে জোরপূর্বক বিষ মেশানো কোমল পানীয় খাইয়ে দেয় সে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের সদস্যরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাকিল আর সালান বলেন, শিশুটির পাকস্থলী পরিষ্কার করা হয়েছে। সেখানে বিষয় জাতিয় দ্রব্যের উপস্থিতি মনে হয়েছে তাদের কাছে। আরো পরীক্ষা করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, ওই ঘটনায় থানায় এখনও কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিশুটির বাবা শফি উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান তিনি থানায় অভিযোগ দেবেন।
অভিযুক্ত হোটেল মালিকের ফোনে যোগাযোগের জন্য ফোন করা হলে তার স্ত্রী রেনুকা খাতুন ফোন ধরে জানান ‘অনিছুর রোববার রাতে বাসায় এসে ফোন রেখে বেড়িয়ে গেছে আর ফিরে নি।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি