December 22, 2024, 3:11 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেছেন প্রতিরোধই ডায়াবেটিস রোগকে দুরে রাখার সর্বোত্তম পন্থা। দেশে প্রতিদিনই ডায়াবেটিসের নতুন নতুন রোগী তৈরি হ”্ছ।ে এজন্য সর্বাগ্রে নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন করে ডায়াবেটিস মোকাবেলা করতে হবে।
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে কুষ্টিয়ায় মজিুবর রহমান ডায়াবেটিস হাসপাতালের আয়োজনে র্যালী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন দেশে ডায়াবেটিস যে হারে বাড়ছে সেখানে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সে হারে বাড়ছে না। তিনি পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন বাংলাদেশে মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ ডায়াবেটিস। গত বছর বাংলাদেশে ডায়াবেটিসে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বা ৪৪ হাজার ৩৩৪ জনের মৃত্যু হয়। এ অবস্থায় আমাদের সকল ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোড়দার করতে হবে।
তিনি বলেন কায়িক শ্রম কমে যাওয়া, কম হাঁটা, অধিক তেলযুক্ত খাবার ও ফাস্টফুড খাওয়া, খেলাধুলা না করা, স্থূল হওয়া, মানসিক চাপ—এসব কারণে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। এ থেকে বোঝা যায় এটি অনেকটা জীবনধারা ভিত্তিক অসুস্থতা। এগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেই এই রোগটি শরীরে বাসা পেতে বসতে পারবে না।
কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক সমিতির আয়োজনে রবিবার সকাল ৯টায় ডায়াবেটিক হসপিটাল চত্বর থেকে একটি র্যালী শহর প্রদক্ষিন করে। র্যালী শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
টেলিকনফারেন্সে মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড.আআমস আরেফীন সিদ্দিক।
কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান লাল্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে। প্রধান বক্তা ছিলেন প্রখ্যাত হৃদ রোগ বিশেসজ্ঞ ও সার্জন প্রফেসর ড.এস আর খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বারডেমের ডাইরেক্টর ফারুক আজম খান, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ আব্দুল মোমেন, কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোশফেকুর রহমান টর্লিন।
প্রধান আলোচক ডা. এসআর খান বলেন বর্তমানের এই সময়ে আমরা নিজেরাই আমাদের লাইফ স্টাইলের ভুল ও সচেতনতার অভাবের কারনে ডায়াবেটিস রোগকে ডেকে ঘরে নিয়ে আসছি। ঘর থেকে এই রোগকে বের করতে হলে ঘরের জীবনযাপনে সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন কাজ করে খেতে হবে। এই কাজ হলো একটু শারীরিক কসরত। প্রতিদিন একটু হলেও এটা করতে হবে।
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে ঢাকার বাইরে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি প্রথম বারের মত কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক সমিতিতে সমিতির সকল রোগিদের ডিজিটাল নিবন্ধন উদ্বোধন করা হয়। নিবন্ধন করে যেকোন রোগী ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেশের যে কোন ডায়াবেটিক সমিতির কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে এবং মেডিকেল রেকর্ডও সংগ্রহ করতে পারবে।
Leave a Reply