December 22, 2024, 9:26 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
পরিকল্পনা বেশ আগেরই ছিল। সাজাতে সময় নিতে যেটুকু লাগলো। সামাজিক যোগাযোগের সবচে বড় মাধ্যম নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দিল। ফেসবুক এখন ‘মেটা’ নামে পরিচিত হবে। তবে এই মেটার অধীনে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাপসগুলো আগের মতোই থাকবে। মেটা হবে ইনকরপোশেন নাম।
বৃহস্পতিবার ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকারবার্গ কোম্পানির বার্ষিক হার্ডওয়্যার ইভেন্ট এই ঘোষণা দেন। এখানে আরো নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি বর্তমানে যা করছে তার ‘পরিধি’ আরও উন্নত করবে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বাইরে ভার্চুয়াল রিয়ালিটির (ভিআর) দিকে এর বিস্তৃতি ঘটাবে।
সাবেক এক কর্মীর মাধ্যমে ফেসবুকের কিছু গোপন নথি ফাঁসের ভিত্তিতে ধারাবাহিক নেতিবাচক খবরের পর নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় ফেসবুক।
ফেসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ ‘মেটাভার্স’ তৈরির পরিকল্পনার কথা প্রকাশের সময় প্রতিষ্ঠানটির নতুন নামকরণের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, মেটাভার্স হবে এমন একটি অনলাইন জগৎ, যেখানে মানুষ ভিআর হেডসেট পরে ভার্চুয়াল পরিবেশে গেম খেলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজ ও যোগাযোগ করতে পারবে।
নামবদল সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, এখন থেকে আর মূল পরিচয় ফেসবুক নয়, আমাদের প্রথম পরিচয়ে মেটাভার্স হতে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে আমাদের ব্র্যান্ডটি একটি পণ্যের সঙ্গে এতো গভীরভাবে সংযুক্ত যে সম্ভবত আমরা আর যা কিছু করছি তার প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না।
জুকারবার্গ লিখেছেন, ক্লাসিকস পড়তে বরাবরই ভালোবাসি। গ্রিক শব্দ ‘বিয়ন্ড’ (অনন্ত) থেকে এসেছে মেটা শব্দটি। ব্যক্তিগতভাবে যে শব্দ বেছে নেওয়ার কারণ আরও অনেক কিছু তৈরি করা বাকি। আমাদেরও পথচলার অনেক নতুন পথ বাকি, সেই ধারণা থেকেই এই নামকরণ।
এর আগে জাকারবার্গ বলেছিলেন, ‘আমরা এখন যা করছি বর্তমান নাম হয়তো সেটাকে সম্পূর্ণরূপে তুলে ধরতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে পরিবর্তন দরকার।
একটি ভার্চুয়াল সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আশা করি সময়ের সাথে সাথে আমাদের মেটাভার্স কোম্পানি হিসেবে দেখা হবে এবং আমাদের কাজ ও পরিচয়কে সেদিকে পরিচালিত করতে চাই।’
‘এর অংশ হিসেবে আমাদের এমন একটি নতুন নাম গ্রহণের সময় এসেছে, যাতে আমরা যা কিছু করছি তার সবকিছু প্রতিলিত হয়।’
মেটাভার্স তৈরিতে কেবল প্রথম বছরেই তিনি অন্তত এক হাজার কোটি ডলার খরচ করার কথা জানিয়েছেন এরই মধ্যে। আগামী এক দশকে বেশির ভাগ মানুষ ইন্টারনেটে যুক্ত ত্রিমাত্রিক ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায় সময় কাটাতে শুরু করবেন বলেও বিশ্বাস করেন তিনি। আভাটার কিংবা হলোগ্রাম প্রযুক্তির সাহায্যে চট করে অনেক দূরে অবস্থিত কারও সঙ্গে দেখা করা যাবে সেখানে। আর এর পেছনে থাকছে হরাইজন নামের সফটওয়্যার। অগমেনটেড ও ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজ করবে সেটি।
২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পথচলা শুরু করেছিল ফেসবুক। তারপর থেকে মার্ক জুকারবার্গের হাত ধরে ক্রমশ শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছে ফেসবুক।
ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার, অকুলাসের মতো শাখার পাশাপাশি জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ সবই এই মুহূর্তে ছিল মাদার কোম্পানি ফেসবুকের অধীনস্থ। কিন্তু নতুন নামকরণে নতুন পথচলা শুরুর ইঙ্গিত দিলেন মার্ক জুকারবার্গ।
Leave a Reply