প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ৭:৫০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১১, ২০২১, ৭:৫৯ পি.এম
খোকসার শত বছরের লাল তেঁতুল গাছটি সংরক্ষণের দাবি এলাকাবাসীর
হুমায়ুন কবির, খোকসা/
দুই'শ বছরের পুরনো ঐতিহ্য লাল তেতুল সংরক্ষণে এলাকাবাসীর দাবি উঠেছে। তারা দাবী করছে এই তেঁতুল গাছকে ঘিরে এখানে পর্যটন নগরী গড়ে তোলা হোক।
ব্রিটিশ নীলকরদের ফেলে যাওয়া সম্পত্তির উপর বিরল প্রজাতির লাল তেতুল কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের গড়াই নদীর ঘেষা হিজলাবট গ্রামে অবস্থিত।
ইতিহাস ঐতিহ্য, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও পর্যটন নগরী হিসেবে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের হিজলাবট গ্রামটি এখন অনেকটাই পর্যটন নগরী পরিণত হয়েছে। এই গ্রামের একদিকে রয়েছে নীলকুঠি অপরদিকে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী লাল তেতুল গাছ।
এলাকাবাসীরা দাবী করেন, এই লাল তেতুল গাছ ও নীলকুঠি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে বহু লোক এখানে আসেন। তবে এই তেতুল কাঁচা থাকতে এতোটাই লাল দেখা যায়, রক্তের মতন লাল দেখায়। যা কিনা মানুষের অনেকটাই আকৃষ্ট করে। তেতুল দেখতে যেমন লাল, ঠিক তেমনি খুব সুস্বাদু টক মিষ্টি ঝালে সমৃদ্ধ।
সাতচল্লিশের দেশভাগের পর এই সম্পত্তিটি সরকারের অধিকরণে হয়। পরবর্তীতে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের মাধ্যমে ডিসিআর এর মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে লিজ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তেঁতুল গাছের জায়গাটি এলাকাবাসীর মাঝে লিজ রয়েছে। তবে দূরদূরান্ত থেকে আগত এলাকাবাসী এই গাছের তেতুল পারে এবং তারা এর স্বাদ গ্রহণ করে।। লাল তেঁতুল নিয়ে তাদের কোন অভিযোগ নাই বলে এলাকাবাসী জানান।
গড়াই নদীর কূলে এই তেঁতুল গাছটিকে সংরক্ষণ করে স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি এটাকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হোক।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি