দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
বরের বয়স ছিল ১৬ ; কনের ১৫। পারিবারিকভাবে বিয়ের আয়োজন করা হয় তাদের। যথাররীতি বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে হাজির বর। কনের বাড়ি সাজানো হয়েছে রঙিন আলোয়। বিয়ের রব চারদিকে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সবকিছু ধুসর হয়ে যায় যখন সেখানে হাজির হন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট নিয়ে এবং চেয়ে বসেন বর ও কনের বয়সের খতিয়ান। এতেই বিপত্তি।
ঘটনা রবিবার রাতের। ঘটেছে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কাথুলি গ্রামে।
মোবাইল কোর্ট সূত্র জানায়, বাল্য বিয়ে অনুষ্ঠানের খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয়েছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী খানম। সেখানে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর (১৪) সাথে বিবাহ দেয়ার আয়োজন চলছিল একই উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে নয়ন হোসেন (১৬)’র।
মোবাইল কোর্ট সেখানে হাজির হয় রাত সাড়ে ১০টার দিকে। মোবাইল কোর্ট দেখে হুড়মুড় করে বরকে রেখে পালিয়ে যায় বরের আত্মীয়স্বজন ও বরযাত্রীরা। বরকে ঘিরে ধরে মোবাইল কোর্ট। তার বয়স পেশা এসব জিজ্ঞেস করতেই এক পর্যায়ে কান্নাকাটি শুরু করে সে।
পরিরিস্থতি সামাল দিতে মোবাইল কোর্ট ডেকে আনে মেয়ের পিতাকে। আদোপান্ত জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
ওদিকে বর নয়নের কান্না থামানো হয়। নয়ন জানায় সে পূর্ণ বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে করতে বসবে না।
নয়নের এই অঙ্গীকারে মোবাইল কোর্টর ম্যজিস্ট্রেট তাকে শাস্তি না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তাকে ছেড়ে দেয়।
মেয়ের বাবা রাজুকে আহমেদকে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ অনুযায়ী জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
রান্না করা খাবারের একটি অংশ দিয়ে দেয়া হয় স্থানীয় একটি এতিম খানায়।
কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য সুফিয়া খাতুন বলেন, বেশীরভাগ এমন ক্ষেত্রে কনের পিতারা কথা শুনতে চান না। এখানেও তিনি কনের পিতাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু কাজ হয়নি।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি