October 30, 2024, 10:18 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরে ভারত থেকে আনা ৪৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার, আটক ৫ চুয়াডাঙ্গায় জামায়াত আমির/কোনো বিভক্তি নয়, ঐক্যই হোক এ জাতির সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধি আ.লীগকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না: হানিফের বিৃবতি পদ্মায় পানি বৃদ্ধি, পানিবন্দি ৪০ গ্রাম, নিম্নাঞ্চলে মৌসুমী ডাল ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা ১২০০ টাকা কেজি দরে প্রথম চালানে ভারতে গেল ১২ টন ইলিশ, ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির জন্য ২ সদস্যর আহ্বায়ক কমিটি, বিলুপ্ত মিরপুর উপজেলা কমিটি/ যা বললেন জাকির সরকার জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের রোহিঙ্গা সংকট অবহিত করলেন ড. ইউনূস, সমাধানে ৩ প্রস্তাব ইবিতে নব নিযুক্ত উপাচার্য/ শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলাই তার স্বপ্ন আট ঘন্টার ব্যবধানে মাগুরা ও ঝিনাইদহে সড়কে নিহত ৫ নিউইয়র্কে তৌহিদ-জয়শঙ্কর বৈঠক/বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতি

আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস-২০২১, বিদ্যমান বাস্তবতা

হাসান আলী, গণমাধ্যম কর্মী/
সকল ক্ষমতার মালিক জনগণের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ২৯ মার্চ, ২০০৯ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ কর্তৃক তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ পাশ হয়। ৫ এপ্রিল, ২০০৯ এই আইনটি মহামান্য রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করে এবং ৬ এপ্রিল, ২০০৯ আইনটি বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয়। তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ বাংলাদেশ সরকারের একটি মহতী উদ্যোগ। এটি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে নিষিক্ত রাজনৈতিক সদি”ছার অভিব্যক্তি যা রাষ্ট্রের ওপর জনগণের মালিকানা নিশ্চিত করার অভিপ্রায়গত। বাংলাদেশের সংবিধানে চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতা নাগরিকগণের মে․লিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। বলার অপেক্ষা রাখেনা, জনগণের কল্যাণে গৃহীত যে কোন নীতি, কর্মসূচী ও কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জনগণের স্পষ্ট ধারণা থাকা আবশ্যক। এভাবে নাগরিক চিন্তার ক্ষেত্র প্রসারণে অভিমত ব্যক্ত করার স্বাধীনতার জন্য তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ একটি অন্যতম রক্ষাকবচ। তথ্য অধিকার আইনের দর্শনকে বাস্তবে রূপদান করতে এর প্রায়োগিক ক্ষেত্রটিকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা আবশ্যক। অন্যথায় এই আইনের উপযোগিতা বাংলাদেশের নাগরিক জীবনে যথার্থভাবে অনুভূত হবেনা। এক্ষেত্রে নাগরিকগণের চাহিদা অনুযায়ী কাঙ্খিত তথ্য সরবরাহে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ভূমিকাও অত্যন্ত গুর‚ত্বপূর্ণ।

মঙ্গলবার নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে দেশব্যাপী পালিত হলো আন্তর্জাকিত তথ্য অধিকার দিবস। সরকারী, বে-সরকারী, স্বায়ত্বশাসিতসহ বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দিবসটি পালনে নেয়া হয় নানা উদ্যোগ। ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বুলগেরিয়ায় তথ্য অধিকার আন্দোলন নিয়ে গড়ে উঠা সংগঠনগুলির দাবির প্রেক্ষিতকে প্রতিপাদ্য হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে ২০১৫ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো কর্তৃক ২৮ সেপ্টেম্বর দিবসটিকে “ওহঃবৎহধঃরড়হধষ উধু ভড়ৎ টহরাবৎংধষ অপপবংং ঃড় ওহভড়ৎসধঃরড়হ” ঘোষনার পর থেকেই বিশ^ব্যাপী দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হ”েছ। দিবসটি যাত্রা শুরুর পর থেকে প্রতি বছরই আড়ম্বর পূর্ন বর্ণিল আয়োজনে পালনে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়।

তথ্য অধিকার আইনের উদ্দেশ্য:
সরকারী, বে-সরকারী, স্বায়ত্বশাসিত ও এনজিওদের কাজে স্ব”ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে দুর্নীতি হ্রাস করে সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের অব্যহত ধারায় জনসম্পৃক্ততায় আগ্রহ সৃষ্টি করা। অবাধ তথ্য প্রবাহেই জনগণের তথ্যের অধিকার নিশ্চিতকরণ সম্ভব। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক এবং চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতা নাগরিকের অন্যতম মে․লিক অধিকার। তথ্য অধিকার আইন জনগণের এই মে․লিক অধিকারের স্বীকৃতি দিয়ে তথ্য অধিকার বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়নের পথ সুগম করেছে। সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ সং¯’া, সরকারী ও বিদেশী অর্থায়নে সৃষ্ট বা পরিচালিত বেসরকারী সং¯’া, কোন আইন দ¦ারা বা আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত কোন সংবিধিবদ্ধ সং¯’া বা প্রতিষ্ঠান এবং সরকার বা কোন সরকারী সং¯’া বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক সরকারী কার্যক্রম পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন বেসরকারী সং¯’া বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড স¤পাদনে স¦‛ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধ করে জনগণের ক্ষমতায়ন এই আইনের মূল উদ্দেশ্য। একটি গণতান্ত্রিক রাজ‣নতিক ব্যব¯’া অনুযায়ী রাষ্ট্রের সাথে নাগরিকের সম্পর্ক ¯’াপনের এই ক্ষেত্রে সেতুবন্ধন স¦রূপ ভূমিকা পালন করেন একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। আশা করা যায়, তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের জন্য রচিত এই নির্দেশিকা তাদের দায়িত¦ পালনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

তথ্য অধিকার আইনের গুরুত্ব প্রয়োজনীয়তা:
তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগ করে এই দুর্নীতি অনেকখানি কমানো সম্ভব। অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় গণতান্ত্রিক কার্যক্রমের অনুষঙ্গ হিসেবে, সুশাসনের পূর্বশর্ত হিসেবে এবং সবরকম মানবাধিকার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার গুর“ত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে পারলে তৃণমূলের নাগরিকদের মধ্যে একদিকে দায়িত্ববোধ সৃষ্টি হবে, অপরদিকে আইনগত অধিকার ভোগকারীর অধিকার নিশ্চিত হবে। তৃণমূলে স্ব”ছতা ও জবাবদিহিতার পথ প্রশস্ত করে ¯’ানীয় সরকার পরিচালনায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। জবাবদিহিতার গুণগত মান বৃদ্ধি করতে পারে; ভুলে গেলে ভুল হবে যে, কেবল নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচন, গণতন্ত্র বা সুশাসন কোনোটারই নিশ্চয়তা প্রদান করে না। গণতন্ত্র কেবল একদিন ভোট প্রদানের বিষয় নয়, গণতন্ত্র প্রতিদিন চর্চার বিষয়। আর প্রতিদিনের গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমেই কেবল সমাজ ও রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হতে পারে। সুশাসনের প্রধান উপাদান সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জন-অংশগ্রহণ। তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগ করে তৃণমূলে ¯’ানীয় সরকার ব্যব¯’া থেকে শুর“ করে বাজেট প্রণয়নসহ সব ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনায় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়।

কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন দপ্তরের তথ্য অধিকার বিষয় সংক্রান্ত বিদ্যমান চিত্র: অবাধ তথ্য প্রবাহ বিষয় সংক্রান্ত জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তিদের দেয়া তথ্যমতে, আইনটি বাস্তবায়নে কুষ্টিয়া জেলা পর্যায় ও উপজেলা পর্যায়ে নিয্ক্তু দপ্তর ও কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন এবং মানসিকতা ইতিবাচক অব¯’ানের চরম তলানীতে। আইনটির যাত্রা শুরুর পর থেকে অদ্যবধি তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া উদ্যোগ ও তথ্য কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনের রিপোর্টে প্রকৃত চিত্র ফুঠে উঠেছে।

গেলো বছরের ২৭ ডিসেম্বরে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নসহ অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিতের কৌশল নির্ধারণ বিষয়ক জুম মিটিংএ অংশ গ্রহনকারী সরকারী বেসরকারী স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ গণমাধ্যম ব্যক্তিগণের মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে উঠে আসা ১০টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে জেলার উপজেলা প্রশাসনসহ সবগুলি(৫৩টি সরকারীসহ) মোট ৮০টি সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানদের জানিয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছিলো যা অদ্যবধি অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান বা সং¯’ার পক্ষ থেকে কোন সন্তোষ জনক সাড়া পাওয়া যায়নি। সেকারনে পুন:রায় গত ২আগষ্ট চাহিত তথ্য সরবরাহের তাগিদ দিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি বিভাগ) মোছা: শারমিন আখতার স্বাক্ষরিত পত্র প্রেরন করে ১৬ আগষ্ট পর্যন্ত সময় ধার্য করে দেয়া হয়। এক্ষেত্রেও কাঙ্খিত সাড়া পাওয়া যায়নি। একই সাথে হাতে গোনা দুই একটি দপ্তর ব্যতীত সবগুলি দপ্তরই এখনও তথ্য অধিকার নিশ্চিত করে অবাধ তথ্য প্রবাহকে সমুন্নত রাখতে তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি দপ্তরগুলিতে। যদিও এখাতে সরকারী বিপুল পরিমান অর্থব্যয় হয়েছে নানা কর্মসূচী পালনের নামে। এটাকে চরম হতাশা জনক মনে করছেন জেলার তথ্যকাঙ্খি ব্যক্তিরা।

তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ/ বাধা বা সীমাবদ্ধতা:
০১. মানসিক সমস্যা: দীর্ঘদিন ধরে তথ্য ঢেকে রাখা বা অন্যদের থেকে গোপন করার সংস্কৃতি আমাদের মজ্জাগত ও মানসিক জীবনাচারের সাথে মিশে আছে যা হঠাৎ করে রাতারাতি এই অব¯’া থেকে উত্তোরণ সম্ভব নয়।
০২. আ¯’াহীনতা: যে কোন ধরণের তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে তথ্যদাতা এবং তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকের মধ্যে আস্থাহীনতা এই আইন বাস্তবায়নের অন্তবায়।

০৩. জনমনে স্বত্ত:ষ্ফুর্ততার অভাব: বিগত দিনগুলোতে বিভিন্ন ইস্যুতে রাষ্ট্র বা নাগরিক জীবনের প্রয়োজনে অসংখ্য আইন প্রনয়ন করেছেন আইন প্রনেতাগণ। কিš‘ প্রনীত সেসব আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের চরম নিষ্পৃহতা দেখে দেখে মানুষ আর আশা-ভরসা খুজে পায় না। অন্যদিকে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণেও থাকে না কোন যথযথ আয়োজন।

০৪. আমলাতান্ত্রিক মানসিকতা: যুগ যুগ ধরে লালিত মানসিকতার ঘোর থেকে মুক্ত, অবাধ ও খোলা মন নিয়ে স্ব”ছ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা যে সম্ভব তা অনেকের কাছেই এখনও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে না উঠায় আইনটির অমিত সম্ভাবনা বিকাশ ব্যহত হচ্ছে।

০৫. আইনটি সম্পর্কে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অস্ব”ছতা: আইনটির প্রায়োগিক বিস্তৃতি ও গুরুত্ব বিষয়ে এখনও সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও কর্মকর্তাদের মধ্যে যথেষ্ট অজ্ঞতা রয়েছে।

০৬. তথ্য সংক্রান্ত বিষয়ে সম্যক ধারণার অভাব: তথ্যদাতা ও গ্রহিতার মধ্যে সম্যক ধারণার অভাব থাকায় আইনটি বাস্তবায়ন গুরুত্ব পা”েছনা।

০৭. তথ্য সংরক্ষনে লজিষ্টিক সমস্যা: এখনও পর্যন্ত অধিকাংশ সরকারী বেসরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলিতে বিষয় সংশ্লিষ্ট তথ্য উপাত্ত সংরক্ষনে নেই প্রয়োজনীয় সহজলোভ্য ব্যাকআপ।

০৮. খোড়া অজুহাত: রাষ্টে্রৃর সকল তথ্যই স্পর্শকাতরতার খোড়া অজুহাত দেখিয়ে জনগনকে নিরুৎসাহিত করে রাখা হচ্ছে।

০৯. সয়ং তথ্য কমিশনই আমলা নির্ভর: এযেন শিয়ালের কাছে মুরগী পোষার মতো অবস্থা। যেখানে অবাহ তথ্য প্রবাহকে সার্বক্ষনিক অবরুদ্ধ করে রাখতে চান যে আমলাতন্ত্রের কর্তাব্যক্তিরা। সেই আমলাতন্ত্রের নিয়ন্ত্রনে চালিত তথ্য কমিশন তথ্য সরবরাহ নিশ্চিতে কাঙ্খিত সফলতা দেখাতে সক্ষম নয়।

১০. অবাধ তথ্য প্রবাহে রাষ্ট্র নিজেই স্ব-বিরোধী অবস্থানে: রাষ্ট্রের যে স্ব”ছতা জবাবদিহিতার মাধ্যমে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সংবিধান এই আইনটি প্রনয়ন করেছে সেই সংবিধান থেকেই আবার ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট নামক নিবর্তনমূলক আইন প্রনয়ন করে অবাধ তথ্য প্রাবাহের আগ্রহ থেকে জনগণকে নিষ্পৃহ করে রাখা হয়েছে।

সীমাবদ্ধতা বা বাধা দুরীকরণে করণীয় :
বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় বাস্তবতায় সকল বাধা পেরিয়ে তথ্য অধিকার আইন ব্যবহারের সম্ভাবনা অসীম; এ আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে সরকারি ও বসরকারি সং¯’ার কাজে স্ব”ছতা আনয়ন, জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি হ্রাস ও সর্বোপরি রাষ্ট্রের সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব নয়। এলক্ষ্যে উল্লেখিত সমস্যা বা চিহ্নিত প্রতিবন্ধকতাগুলি দুরীকরণসহ আইনটি বাস্তবায়নে তথ্যদাতা ও গ্রহীতার মাধ্যমে আন্তরিকতার সেতু বন্ধনই হবে অবিকল্প পš’া।

তথ্য অধিকার সংশ্লিষ্ট চিন্তা ও কর্মতৎপরতার সঙ্গে যুক্ত এনজিও, ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠান, তথ্য গবেষক, তথ্যকর্মী, অ্যাকাডেমিশিয়ান, গণমাধ্যম, আইন প্রণেতা, সিভিল সোসাইটি আন্দোলনে যুক্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান ও নীতিনির্ধারকগকে আইনটি বাস্তবায়নে আরো জোরালো ভূমিকা পালন করে এগিয়ে যেতে হবে আরও অনেকটা পথ। সর্বোপরি তথ্য অধিকারকে একটি সার্বজনীন সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

MonTueWedThuFriSatSun
      1
30      
1234567
891011121314
15161718192021
293031    
       
     12
24252627282930
       
2930     
       
    123
       
   1234
26272829   
       
293031    
       
    123
25262728293031
       
  12345
27282930   
       
      1
9101112131415
3031     
    123
45678910
11121314151617
252627282930 
       
 123456
78910111213
28293031   
       
     12
3456789
24252627282930
31      
   1234
567891011
19202122232425
2627282930  
       
293031    
       
  12345
6789101112
       
  12345
2728     
       
      1
3031     
   1234
19202122232425
       
293031    
       
    123
45678910
       
  12345
27282930   
       
14151617181920
28      
       
       
       
    123
       
     12
31      
      1
2345678
16171819202122
23242526272829
3031     
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
242526272829 
       
© All rights reserved © 2021 dainikkushtia.net
Design & Developed BY Anamul Rasel