মা ও খালা বিয়ে দিতে চান। তাদের অনেক বুঝানোর পরও রাজি করাতে পারেনি ১৬ বছর বয়সী দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। অবশেষে বিয়ে রুখতে নিজেই থানায় হাজির হন চুয়াডাঙ্গা ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী!
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় অভিযোগ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় আসে ওই শিক্ষার্থী।
পুলিশ জানায়, ১৬ বছর বয়সী এই কিশোরী ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী। তার বাবার চায়ের দোকান আছে। মা একটি মুড়ির কারখানায় চাকুরি করেন। সম্প্রতি তার খালা ও মা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। কিশোরী তাদের বারবার বুঝানোর পরও তারা সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। বিয়ের জন্য ছেলেও ঠিক করেন। উপায় না দেখে আজ ওই কিশোরী নিজেই থানায় এসে উপস্থিত হন। সম্প্রতি একই এলাকায় পুলিশ আরেকটি বাল্যবিয়ে ভেঙে দেওয়ায় উৎসাহিত হয়ে পুলিশের কাছে আসেন বলে জানান এই কিশোরী। পরে পুলিশের একটি দল কিশোরীর বাসায় গিয়ে তার মা ও বাবাকে বুঝিয়ে বলার পর তারা তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন এবং মেয়ের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মত হন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, বেলা ১১ টার দিকে আমাদের থানায় এক শিক্ষার্থী আসেন। তার অভিযোগ, তার মা ও খালা তাকে জোর করে বিয়ে দিতে চাচ্ছেন। কিন্তু তিনি পড়তে চান। পরে আমরা গিয়ে তার মা-বাবাকে বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করে তার পড়াশোনা সচল রাখার ব্যবস্থা করি।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি