November 3, 2024, 2:15 am
সূত্র, প্রথম আলো/
শহরের সৌন্দর্য বাড়াতে অর্ধকোটি টাকা খরচ করে স্থাপন করা হয় বাগানবাতি (গার্ডেন লাইট)। তিন মাস যেতে না যেতেই সেই বাতি আর জ্বলছে না। কারণ, বাতির খুঁটির ভেতরে থাকা তার পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে গেছে। এটি দেশের প্রথম শ্রেণির কুষ্টিয়া পৌরসভার চিত্র। পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে এ সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে। বাগানবাতিতে শিগগিরই আলো জ্বলবে।
পৌরসভা সূত্র জানায়, তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ প্রকল্পের (ইউজিআইআইডি-৩) আওতায় পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়মূলক কাজ হাতে নেওয়া হয়। শহরে বেশ কিছু সড়ক ও নালা নির্মাণ, সড়কের মাঝে সড়ক বিভাজকসহ বিভাজকের ভেতরে ফুলগাছ লাগানো ও সেখানে বাগানবাতি স্থাপন করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে পৌরসভার সামনের কওসের উদ্দীন ও এনএস রোডের ১ হাজার ৩৩২ মিটার অংশে সড়ক বিভাজক তৈরি করা হয়। সেই বিভাজকে ফুলগাছ লাগানো হয়। ২৬৬টি খুঁটিতে (কাস্ট আয়রন খুঁটি, যার উচ্চতা ২ দশমিক ২৫ মিটার) দুটি করে এলইডি বাল্ব লাগানো হয়।
এ ছাড়া সড়ক বিভাজকের বাগানে আলো জ্বালাতে ২৬৬টি খুঁটি স্থাপন করা হয়। প্রতিটি খুঁটিসহ আলো জ্বালাতে ব্যয় ধরা হয় ২৫ হাজার ৬২৭ টাকা। সব মিলিয়ে আলো জ্বালাতে খরচ পড়ে ৬৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৮২ টাকা।
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। বেশ কয়েকটি গুচ্ছে কাজ শেষ হয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে। সড়ক বিভাজকসহ বাগান ও বাগানবাতি স্থাপনের কাজ করে নেশনটেক নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তিন মাস পর গত মে মাসের দিকে সড়ক বিভাজকের বাতি জ্বলা বন্ধ হয়ে যায়।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সূত্র জানায়, বাতি জ্বালাতে বিদ্যুতের ভূগর্ভস্থ লাইনের মাধ্যমে সংযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু পানি ঢুকে সেই সংযোগ নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে তারের সংযোগ ওপর দিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। অচিরেই কাজ শুরু হবে।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, বাতির নকশার ত্রুটির বিষয়ে আগে থেকেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার চিঠি দিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তারপরও কাজ হয়েছে। বর্তমানে নতুন করে বাতি জ্বালাতে পৌরসভা থেকে আরও প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। তারসহ যাবতীয় উপকরণ কেনা হয়েছে। শিগগির কাজ শুরু হবে।
Leave a Reply