দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
আমরা এখন আরও অনেক বেশি চাপ সামলাতে শিখে গেছি। গত প্রায় দুই বছরে বাস্তবতার নানা কঠিন দিক দেখেছি আমরা। অসুস্থতা, শোক, কাজের চাপ সামলে আমরা বাঁচতে শিখেছি একথা সত্যি কিন্তু দিনশেষে আমাদেরও ক্লান্ত লাগে। কাজ শেষে বাড়ি ফিরতে গেলে মনে হয়, অদ্ভুত শূন্যতা জেঁকে বসেছে যেন। ক্লান্তিতে শরীর ভেঙে আসে, কাজের প্রতি কমতে থাক আগ্রহ।
আপনি যতদিন সুস্থ ও সুন্দরভাবে কাজ করে যাবেন, ততদিনই সবকিছু সুন্দর মনে হবে। কিন্তু কাজের চাপে একবার বেসামাল হয়ে গেলেই তা গুছিয়ে ওঠা মুশকিল হয়ে যাবে। দিনশেষে আপনার যদি কান্না কান্না লাগে তবে সেটি খুব সাধারণ সমস্যা মনে করে এড়িয়ে যাবেন না। বরং কাজের চাপ সামলেও ভালো থাকুন এভাবে-
গভীর নিঃশ্বাস
এটি একটি ছোট্ট সমাধান যা তাত্ক্ষণিকভাবে কাজ করে। যখনই আপনি কাজ করে ক্লান্ত বোধ করবেন, আপনাকে অবশ্যই থামতে হবে, এক মিনিট সময় নিয়ে গভীর নিঃশ্বাস নিতে হবে। এক বা দুই মিনিটের জন্য চোখ বন্ধ করে এভাবে নিঃশ্বাস নিন। এটি আপনার স্নায়ু নিশ্চিতভাবে শিথিল হবে।
বিরতি নিন
কাজের মাঝে বিরতি নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্রমাগত কাজ করার পরিবর্তে কাজের সময় অনুযায়ী ৩-৪টি ছোট বিরতি নিন। এই বিরতিগুলো হতে পারে দশ মিনিটের জন্য। পানি পান করুন, হাঁটাহাঁটি করুন বা কারও সঙ্গে সামান্য সময় গল্প করুন। এগুলো একঘেয়েমি ভেঙে দেয়, আপনার চোখ এবং মনকে একটু বিশ্রাম দেয় এবং এতে কম চাপ অনুভব করবেন।
সতেজ বাতাস
আপনার কাজের সময় শেষ হলে বাইরে ঘুরতে যান এবং হাঁটুন, সতেজ বাতাসে নিঃশ্বাস নিন। চাপ সামলে চলার জন্য পরিবর্তন জরুরি। আপনার শরীর, মন এবং আত্মার জন্যও সতেজ বাতাস গুরুত্বপূর্ণ। আপনি নেতিবাচক স্থান থেকে দূরে সরে যাওয়ার সাথে সাথে আপনি ইতিবাচক জিনিসগুলোকে জীবনে জায়গা দেন।
কাজের চাপ ভাগ করুন
সঠিকভাবে গুছিয়ে না নিলে খুব বেশি কাজ শেষ করা যাবে না। স্লট তৈরি করুন, প্রতিটি কাজের জন্য আপনার সময় ভাগ করুন। এভাবে সাজিয়ে নিলে তা অনেক চাপ হ্রাস করে।
একবারে একটি কাজ
আপনি যদি একসাথে সবকিছু সম্পন্ন করার চেষ্টা করে থাকেন তবে আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে আপনি বহুবিধ ক্ষমতার অধিকারী কেউ নন! একই সময়ে কেবল একটি কাজ পরিচালনা করুন। যে কাজগুলো করা হয়ে যাবে সেগুলো টিক চিহ্ন দিয়ে রাখুন। অযথা কেন চাপ নেবেন?
চ্যাটিং
কাজের চাপ সামলে একটু হালকা হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই একজন বিশ্বস্ত সহকর্মীর সাহায্য নিতে হবে। তাকে বলুন যে কাজের চাপ আপনি কতটা অনুভব করছেন। এমনকি তার কাছে এর সমাধানও থাকতে পারে। অন্য কিছু না হলেও, একজন ভাল শ্রোতার সাথে শেয়ার করলেও তা অনেক সাহায্য করে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি